ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যানকে প্রাণ নাশের হুমকি ভাংচুর, আহত ৪

ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যানকে প্রাণ নাশের হুমকি ভাংচুর, আহত ৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নে স্মার্টকার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় যুবলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে তান্ডব চালিয়ে বিভিন্ন সারঞ্জাম ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়াও চারজনকে আহত করে এবং চেয়ারম্যানকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে যুবলীগের নেতারা। শনিবার দুপুরে সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদে এঘটনা ঘটে।
ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যানকে প্রাণ নাশের হুমকি ভাংচুর, আহত ৪ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল থেকে সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে জেলা নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারিরা স্মার্টকার্ড বিতরণ করছিল । এসময় সদর উপজেলা পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সোহেল রানা স্থানীয় লোকজনদের কাছে জোড় করে স্মার্টকার্ডের ফিতা ও প্লাষ্টিকের মোড়ক বিক্রয় শুরু করে । এতে স্থানীয়রা যুবলীগ নেতার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বিষয়টি পরিষদ চেয়ারম্যান মূকুলকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান এব্যাপারে যুবলীগ নেতা সোহেলকে বাঁধা দিলে সোহেল তার উপর চড়াও হয়ে ধাক্কাধাক্কি করে এবং চেয়ারম্যানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় । এসময় উপস্থিত সাধারন মানুষ যুবলীগ নেতাকে গালিগালাজ করলে যুবলীগের কর্মীরা চেয়ারম্যান সহ তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে চাজনকে আহত করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সারঞ্জাম ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা করেও ব্যার্থ হয়। সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মুকুল বলেন, যুবলীগ নেতা সোহেল তার ইউনিয়নের সাধারন মানুষকে জোড় করে কার্ডের প্লাষ্টিকের মোড়ক ও ফিতা ক্রয়ের জন্য বাধ্য করছিলো। স্থানিয়রা তাকে এবিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি যুবলীগ নেতা সোহেলকে এসব বন্ধের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু সোহেল তার কথা না শুনে উল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বলে তার কাজে বাধা না দেয়ার জন্য। কাজে বাধাঁ দিলে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। এসময় সোহেলের এমন কথা শুনে উপস্থিত সাধারন মানুষ উত্তেজিত হয়ে উঠলে সোহেলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় যুবলীগ সন্ত্রসীরা চারজনকে আহত ও পরিষদের বিভিন্ন সারঞ্জাম এবং তিনটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিরব ভূমিকা পালন করে। চেয়ারম্যান আরো জানান পুলিশের উপস্থিতির পর জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উল্টো তাকে হুমকি প্রদান করেন।, এঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে চলে আসেন। পুলিশের উপস্থিতির পর যুবলীগ নেতা সোহেল কে আর সেখানে দেখা যায়নি। অন্যদিকে পুলিশের উপস্থিতিতে এমন পরিস্থিতি ঘটলেও পুলিশের নিরব ভূমিকা পালনে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে । সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তবে স্মার্টকার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে কেউ সাধারন মানুষকে জিম্মি করে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসীরা যতক্ষমতাধর হোকনা কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment