ডাক্তারি পরীক্ষা না হলেও ধর্ষণ মামলায় সাজা দেওয়া যাবে: হাইকোর্ট

ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই রায়টি হাইকোর্টের একটি যুগান্তকারী রায় বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবীরা।

রায়ে আদালত বলেন, ‘শুধু ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ার কারণে ধর্ষণ মামলার আসামি খালাস পেতে পারে না। ভিকটিমের মৌখিক সাক্ষ্য ও অন্যান্য সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ভিত্তিতে তাকে সাজা দেওয়া যেতে পারে।’

ইব্রাহিম গাজী বনাম রাষ্ট্র মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেছেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ভুক্তভোগী দেরিতে মামলা করলেও তা মিথ্যা নয় বলেও রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত তার রায়ে বলেছেন, শুধুমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে ধর্ষণের মামলা অপ্রমাণিত বলে গণ্য হবে না। ভুক্তভোগীর মৌখিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ভিত্তিতে আসামিকে সাজা প্রদান করা যেতে পারে। তাই মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে যে আসামি ধর্ষণ করেনি মর্মে খালাস পেয়ে যাবে, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ষণের মামলায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ইব্রাহিম গাজীকে যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ রায় দেন। সম্প্রতি এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বুধবার (১৪ অক্টোবর) এ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন