একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরো প্রায় ১৫ মাস বাকি। এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে নির্বাচনী আমেজ।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখান বিভিন্ন সময়ে। তার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে বিভিন্ন আসনে তরুণ নেতারাই নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুত হচ্ছেন।
রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের একাংশ এবং সাভারের কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা ২ আসনের নির্বাচনী রাজনীতিও জমে উঠেছে। এখানকার তরুণ নেতা শাহীন আহমেদকে ঘিরে জমজমাট হতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি। শাহীন আহমেদ বর্তমানে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। খুবই কম বয়সে সুদক্ষ নেতৃত্ব ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তরুণ এ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনমত তৈরি হয়েছে। ঢাকা ২ আসনে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠছেন কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীরা। একইসাথে যোগ হয়েছেন ঢাকা ২ আসনের অংশ বিশেষ সাভারের ভাকুর্তা, তেতুল ঝড়া, আমীন বাজার ও কামরাঙ্গীর চরের কর্মী-সমর্থকরাও।
নির্বাচনের আরো এক বছর সময়কে সামনে রেখেই ভোটের হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শাহীন আহমেদের বাসা এখন পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের ক্লাব ঘরে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে চলে তার এ কুশল বিনিময়। শুক্রবার কিংবা অন্য কোনো বন্ধের দিন হলে দিনভরই থাকে লোক সমাগম। এ যেন এক ভিন্ন আমেজ বিরাজমান তার বাসায়। শুক্রবার তার বাসায় গেলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, সাধারণ জনগণের সাথে মিশুক এমন একজন নেতাকেই তারা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায়। তারা বলেন, জাতীয় সব আচার অনুষ্ঠানে কিংবা সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তারা তাদের নির্বাচিত প্রিয় ব্যক্তিটিকে সব সময় কাছে পেতে চায়। এ ধরনের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতিকে ধরে রেখেই তারা তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে ও এলাকার উন্নয়ন সমৃদ্ধি ঘটাতে চায়।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জের মানুষ যে অাশা নিয়ে অামাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন তা অামি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণ সব সময় নেতাদের কাছে পেতে চায়। তাই আমিও সব সময় জনগণের খুব কাছে থেকেই তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আমি দিন-রাত তাদের সাথেই আছি। বাই মিলে মাদক, সন্ত্রাস, এবং জঙ্গি মুক্ত সুন্দর একটি কেরানীগঞ্জ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কেরানীগঞ্জ ছাড়াও ঢাকা ২ আসনের অংশবিশেষ সাভারের ভাকুর্তা, তেতুল ঝড়া, আমীন বাজার ও কামরাঙ্গীর চরেও আমার যথেষ্ট যোগাযোগ আছে। এখন এ সকল এলাকার নেতাকর্মীরাও আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন। যার দৃষ্টান্ত আমার বাসায় তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। তা ছাড়া ঢাকা ২ আসনের নির্বাচনকে ঘিরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমিও তাদের ওপর অনেকটা ভরসা রাখি এবং তারাও আমাকে ঘিরে অনেকটা ভরসা পাচ্ছেন।