ত্রাণ না পাওয়া ব্যাক্তিদের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে কেরানীগঞ্জ প্রশাসন

করোনায় দিনদিন করুণার পাত্র হচ্ছে অসহায় মানুষ গুলো। অফিস আদালত, সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে রোজি রোজগারের পথ। তাই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সরকারি-বেসরকারিসহ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। আর এতে অধিকাংশ অসহায় কর্মহীন মানুষ ত্রাণ পেলেও বাদ পড়ারা ছিলো চরম দুর্ভোগে। তাই বাদ পড়া ব্যক্তিদের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

আজ ৪ এপ্রিল শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকায় ত্রাণ না পাওয়া ব্যাক্তিদের বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ। স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় এবং তাদের দেওয়া লিষ্ট অনুযায়ী চাল ডাল আলু তেল ইত্যাদি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাজির হন উপজেলার সর্বোচ্চ পদধারী এই কর্মকর্তা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল।

জিঞ্জিরায় পাঁচশত, শুভাঢ্যায় সাতশত এবং ভাসমান তিনশত সর্বমোট ২০০০ পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়। সাথে সাথে ডাঃ হাবিবুর রহমানের সৌজন্যে তিন’শ পরিবারে প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রীও দেওয়া হয়।

জিঞ্জিরায় বসবাস করা নৌকা মাঝি মনির হোসেন জানান, মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় সে বেকার হয়ে পড়েছে। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে কোন রকমে বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এতো বড় লোক তার নৌকায় এসে ত্রাণ দিয়ে যাওয়ায় খুব খুশি। অন্তত আগামী কয়েকদিন নিশ্চিন্তে থাকবো।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে ত্রাণ কার্যক্রম বিতরণের জন্য সামর্থবানদের আহবান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা তারা নিতে পারেন। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা উচিত। এজন্য অসহায় কাউকে আমরা ডাকছি না। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, কেরানীগঞ্জের একজন মানুষও বর্তমান পরিস্থিতির কারনে না খেয়ে থাকবে না। খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন কিন্তু পাননি, এমন কেউ থাকলে দয়া করে আমার সঙ্গে অথবা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা চাই কেরানীগঞ্জের একজন ব্যাক্তিও খাবারের কষ্ট করবেনা।

আপনি আরও পড়তে পারেন