থানায় অভিযোগ করতে এসে নিজেই থানা হাজতে!

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে আসলে অভিযোগ না নিয়ে আহত ছেলেকে প্রায় ৭ ঘন্টা থানা হাজতে আটকে রাখার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মির্জাপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত আহত ছেলে হলো সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন (২৫)। সে মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের চামারী ফতেপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী জাকির জানান, গত রোববার সন্ধার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার প্রতিবেশি (সম্পর্কে চাচা) ফেরদৌস মিয়ার সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফেরদৌস তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটায়। এ ঘটনা দেখে তার মা বেগম এগিয়ে গেলে তিনি তাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মা ও সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জামুর্কীস্থ মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে জাকির এবং তার মা বেগমকে নিয়ে তার বাবা মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করতে আসলে কর্তব্যরত পুলিশের উপপরির্শক (এসআই) ফজলুর রহমান অভিযোগ না নিয়ে জাকিরকে আটক করে থানা হাজতে রাখেন। এ সময় তারা অনেক কাকুতী মিনতি করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি।

পরে বিষয়টি মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানলে তার নির্দেশে রাত সাতটার দিকে ফজলুর রহমান তাকে ছেড়ে দেন।

জাকির হোসেনের মা বেগম বলেন, থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তার আহত ছেলেকে আটক করেন। আহত দেখেও পুলিশের ওই কর্মকর্তার মায়া হয়নি।

এসআই ফজলুর রহমান জানান, মারামারির ঘটনায় তাদের প্রতিপক্ষ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। এলাকায় গিয়ে তাদের না পাওয়ার কারণে থানার কাছে একটি দোকানের পাশে পেয়ে বিকেল চারটার দিকে তাকে আটক করা হয়েছিল। ওসি সাহেবের নির্দেশে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন