দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে সন্ধ্যায় স্বাগতম

দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে সন্ধ্যায় স্বাগতম

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে দেবীর বোধন ও ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এ উৎসব। সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। দেবী দুর্গার দশমী বিহিত পূজা ও পূজান্তে দর্পণ বিসর্জন দিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে আসছেন ঘোড়ায় চেপে। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দুর্গা ঘোড়ার পিঠে চড়ে এলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, ঝড়, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। আর ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন দোলায় চড়ে। দোলায় গমনেও বাড়বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্বিপাক।

দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস বিষয়ে মহানগর কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপের পুরোহিত ধর্মদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, মাকে দৃশ্যত দেখতে পাই না। কিন্তু বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে সেই মূর্তিটা আমরা দেখতে পেলাম। আমরা তাকে স্বাগত জানাই।

ধর্মদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, এর আগে সকালে ষষ্ঠ্যাদি সম্পন্ন করেছি। আমন্ত্রণ ও অধিবাস এখন শেষ হয়েছে। দুর্গা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আসা ও দোলায় গমনে যে অমঙ্গল হয়, মা দুর্গার কাছে এবার প্রার্থনা সকল অমঙ্গল থেকে যেন আমাদের দূরে রাখেন। বিশ্বকে যেন করোনামুক্ত করে দেয়। আর অসাম্প্রদায়িকভাবে পূজা উদযাপন যেন করতে পারি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন বজায় থাকে।

তিনি বলেন, এবারের পূজায় এই কামনাও করি যেন সকলের সংসারে শান্তি আসে। অশান্তি যেন দূর হয়ে যায়। সবাই যেন সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ করে।

পঞ্জিকা অনুযায়ী, সোমবার মহাষষ্ঠীতে সকালে দেবী দুর্গার ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ এবং ষষ্ঠিবিহিত পূজা, সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। মঙ্গলবার মহাসপ্তমীবিহিত পূজা, বুধবার মহাষ্টমীবিহিত পূজা, বৃহস্পতিবার মহানবমীবিহিত পূজা এবং শুক্রবার দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জন।

এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। ঢাকা মহানগরে এবার পূজা হচ্ছে ২৩৮টি মণ্ডপে। এর মধ্যে সূত্রাপুর থানায় সবচেয়ে বেশি ২৫টি মণ্ডপ, কোতোয়ালি থানায় ২১টি, ওয়ারীতে ১৬টি, গেন্ডারিয়ায় ১৪টি, হাজারীবাগে ১৩টি, তুরাগে ১২টি, বাড্ডায় ১০টি, বনানীতে ৯টি, মোহাম্মদপুরে ৯টি, দারুসসালাম ও গাবতলীতে ৮টি, ডেমরায় ৮টি এবং তেজগাঁও থানায় ৬টি মণ্ডপ রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন