গত পাঁচ বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু ২০১৮ সালেই দেশে ছোট বড় মিলিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ১৯ হাজার ৬৪২টি। এতে প্রাণহানি হয়েছে ১৩০ জনের, আহত হয়েছে ৬৬৪ জন।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইলেকট্রনিক্স সেফটি এন্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০১৯ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইসাব সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন খান বলেন, ক্রেতাদের চাপে রফতানিমুখী শিল্পকারখানার বেশিরভাগে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেক ভবন, প্রতিষ্ঠান এখনও এ থেকে পিছিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ১০ বছরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, কেবল রাজধানীতে উচ্চ ভবনের হার বেড়েছে ৫১৪ শতাংশ। তবে এসব ভবনে কতটুকু অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
এসময় তিনি বিদ্যমানসহ সকল উচ্চ ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান, সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক এম. মাহমুদুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহম্মেদ ও সংগঠনের পরিচালক মাহমুদ ই খোদা।
ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর এবারের আসরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্ক, চীন, ভারতসহ বিশ্বের ২৬টি দেশের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্র্যান্ড অংশ নিচ্ছে। এক্সপোতে মোট স্টল থাকছে ৭০টি। এক্সপোর কো-পাটনার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, সহযোগী পার্টনার বিটিএমইএ, কল কারখানা অধিদপ্তর ও এনএফপিএ (ইউএসএ)। সাপোর্ট পর্টনার র্যাব ফোর্সেস।