দোহারের মিনি কক্সবাজারে মিনি রেস্ট হাউজ স্থাপন

 আশিক আহমেদ :

ঢাকা দোহারের মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাটে একটি ব্যতিক্রম আঙ্গিকে কুঁড়ে ঘর রেস্ট হাউজ নামে দুই বন্ধুর যৌথ উদ্যোগে একটি রেস্ট হাউস স্থাপন করার খবর পাওয়া গিয়াছে। গত ১০ই সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে এই ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেন, দুই উদ্যোক্তা মুকুল আয়মান ও তার বন্ধু মুস্তাক আহমেদ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কার্তিকপুর বাজার থেকে মৈনটঘাটে যেতে একদম মৈনটঘাটের সন্নিকটে রাস্তার ডান পাশে নতুন আঙ্গিকে কু্ঁড়ে ঘর নামক মিনি রেস্ট হাউজ নির্মান করা হইয়াছে। এখানে দক্ষ ও বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও কর্মাভিজ্ঞ বাবুর্চি দ্বারা রান্নাকরা হয় বিভিন্ন রকমের সু-স্বাধু খাবার। এখানে থাই,চাইনিজ, এরাবিয়ান,ও দেশী খাবার সহ অনেক রকম খাবার তৈরী করা হয়। পুরনো ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসু মহসিন আহমেদ নামক প্রবাসী বাংলাদেশি তার পরিবার নিয়ে ঐ রেস্ট হাউজে চাইনিজ খাবার খেয়ে দৈনিক আগামীর সময়ের নিজস্ব প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা কক্সবাজার দেখেছি সেখানে আসা যাওয়ায় দুইদিন লাগে, হোটেল ভাড়া করে থাকতে হয় তাতে সময় এবং অর্থ দু’টোই অনেক বেশী খরচ হয়। আমরা কক্সবাজারের স্বাদ ঢাকার নিকটতম মিনি কক্সবাজার থেকে একটু হলেও পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। অনেকের মতে ব্যয়বহুল খরচ ও যাতায়াতের ঝুকি নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার না গিয়ে মিনি কক্সবাজারই হোক আমাদের শান্ত্বনার কক্সবাজার। দেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এর সাথে মিল রেখে সাংবাদিক আবুল হাশেম ফকির এই স্থানের নাম রাখেন মিনি কক্সবাজার। প্রথমে ফেইসবুকে লেখালেখি পরবর্তীতে অনলাইন পোর্টালে এবং নামীদামী পত্রিকায় পরিস্ফুটিত আকারে এই নামটি দেশ ও দেশের বাহিরে (সাড়া বিশ্বে) ছড়িয়ে পরে। এখানে দূরদুরান্ত ও স্থানীয় এলাকাবাসী কিছুক্ষণ এর জন্য হলে ও স্ব-পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে বিনোদন লাভ করে থাকেন। ছুটির দিনে হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণা ঘটে এই মিনি কক্সবাজার মৈনটঘাটে। ঘুরতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি সরকারী পৃস্ঠপোষকতায় মিনি কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো যায় এবং ইকোনোমিক জোনের মত কিছু বানানো যায়, তাহলে সরকারের বড় অংকের রাজস্ব পাওয়ার অতীব সম্ভাবনা বলে তিনি মনে করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment