দোহারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পদ পদবীর জন্য নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ

দোহারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পদ পদবীর জন্য নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ
নিজস্বপ্রতিবেদক
সম্প্রতি সারাদেশব্যাপী চলছে আওয়ামীলীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনে দলীয় পদ পদবী পেতে মরিয়া নেতাকর্মীরা। চলছে লবিং। ব্যতিক্রম নয় ঢাকা-১ আসনের দোহার উপজেলার দৃশ্যও। ইতিমধ্যেই পদ পদবী পেতে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এ যেন চোখে পড়ার মতো দৃশ্য। প্রতিটি ইউনিয়নের আহবায়ক থেকে শুরু করে কমিটির বাহিরে থাকা অনেকেও লড়াইয়ে নেমেছে পদ পদবীর জন্য । দৌড়ঝাঁপ করছে সদ্য কাউন্সিলর পদে স্থান পাওয়া নেতাদের পিছনে। সবার চোখে মুখে কাউন্সিলরদের সাক্ষাৎ পাবার আকাঙ্খা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার এর স্বাক্ষরিত চিঠিতে সম্মেলনের তারিখ স্থান কালও নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৭শে নভেম্বর নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবং বাকি ইউনিয়নগুলোর তারিখও নির্ধারিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০শে নভেম্বর শনিবার মাহমুদ পুর, ১লা ডিসেম্বর রবিবার কুসুমহাটি, ২রা ডিসেম্বর সোমবার সুতারপাড়া, ৩রা ডিসেম্বর মঙ্গলবার রায়পাড়া, ৪ ডিসেম্বর বুধবার নারিশা এবং সর্বশেষ ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার মকসুদপুর ইউনিয়নের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দোহার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের কাজ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি পদের জন্য একাধিক প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছেন এবং প্রত্যেকেই নিজের রাজনৈতিক যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে জয়ী হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো প্রত্যেকেই নিজের দল ভারি করতে ব্যস্ত। সকাল-সন্ধ্যা এমনকি মধ্য রাত অবধি ছুটাছুটি করছেন কাউন্সিলরদের বাসায়।এলাকার নেতা-কর্মীদের খুশি রাখতে চলছে চায়ের আড্ডা। ফোনালাপের মধ্যদিয়েও প্রত্যেক্যেই কর্মিদের মন যোগানোর চেষ্টা করছেন । প্রতিনিয়ত চায়ের দোকানে, বন্ধুদের আড্ডায়, অফিসে অফিসে একই গুঞ্জন কে হচ্ছে কোন ইউনিয়নের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক। এই সম্মেলনকে ঘিরে কোথাও কোথাও নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে। আহবায়ক ও যুগ্ন আহবায়ক পদ দুটি নিয়েই আলোচনা সবচেয়ে বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করার জন্য কাউন্সিলরদের মধ্যেও প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই চান নিজের পছন্দনীয় ব্যক্তিকে পদে বসাতে। কাউন্সিলরদের এরুপ পক্ষপাত মূলক আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এলাকার কর্মীরা সবাই চান পক্ষপাতিত্ব না করে ত্যাগী এবং যোগ্য ব্যাক্তিদেরকেই যেন দেওয়া হয় দ্বায়িত্ব। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় দল। বড় দল হিসাবে প্রত্যেকেই চান নেতৃত্বে আসতে। আর নিজের পছন্দের লোককে ক্ষমতায় বসানোর বাসনা সবারই থাকে আর এটাই স্বাভাবিক। যোগ্যতা অনেকেরই আছে কিন্তু সবাইকেতো এক পদে বসানো সম্ভব নয়। যোগ্যতার বিচারে যে বা যারা এগিয়ে থাকবেন তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হবে আগামী দিনের নেতৃত্ব ।

আপনি আরও পড়তে পারেন