দোহারে ঈমাম পরির্বতন নিয়ে মারামারি, আহত ৪

মহিউল ইসলাম পলাশ. দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ

ঢাকার দোহার উপজেলায় মসজিদের ঈমাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে মারামারিতে ৪ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দোহার থানায় উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের ঝনকি এলাকার বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম পরিবর্তন নিয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজ ও আক্কেল আলী এবং আলাউদ্দিন বেপারীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনার জেরে রোববার (২৪ মে) একই এলাকার পারভেজ গং ও মনির হোসেন গংদের সঙ্গে মারামারিতে দুই পক্ষের চারজন আহত হন।

অভিযুক্ত পারভেজ জানান, ইমাম পরিবর্তন নিয়ে মসজিদে দুইদিন আগে থেকে দ্বন্দ্ব চলছিলো। আছরের নামাজ পরে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর বাইরে অনেক লোকজনকে ইমামকে বহাল রাখতে বিক্ষোভ করতে দেখতে পাই। আমি এগিয়ে আসলে স্থানীয় মনির ও তার সঙ্গে থাকা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে আমাকে আহত করে। এসময় চিৎকার শুনে আমার মা, স্ত্রী, ছোট ভাই ও ছোট কাকা ছুটে এলে তাদেরও মারধর করে। পরে তারা আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে।

আহত মনির হোসেন বলেন, মসজিদের ইমাম পরিবর্তনের জন্য পারভেজ গংরা দুদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। আমরা বলেছি, ঈমাম পরিবর্তন করতে হয় তাহলে ঈদের পর আলোচনা করে পরিবর্তন করা যাবে। কোনো কথা না শুনে পারভেজ বার বার ঈমামকে চলে যেতে বাধ্য করতে চায়। এ বিষয়ে রোববার বিকেলে পারভেজকে জিজ্ঞেস করলে আমার সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে আমার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। আমার দুই ভাইকেও আঘাত করে গুরুতর আহত করে।

এদিকে ঘটনার পর দোহার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে দুইপক্ষই দোহার থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।তবে প্রত্যাক্ষদর্শী একাধিক ব্যাক্তি জানান,হামলার ঘটনার প্রধান হলেন সেরা ও তার ভাতিজা পারভেজ।

এ বিষয়ে দোহার থানার আওতাধীন শাইনপুকুর ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গির আলম জানান, মসজিদের ঈমাম পরিবর্তন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান,মসজিদের ভিতরে হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা নিবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন