দোহারে বৈরী আবহাওয়ায় জমে উঠেছে পিঠা বিক্রী

দোহারে বৈরী আবহাওয়ায় জমে উঠেছে পিঠা বিক্রী

 মাহবুবুর রহমান টিপু,বিশেষ(ঢাকা)প্রতিনিধি:

দোহারে বৈরী আবহাওয়ায় প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। রসুন-মরিচবাটা,শরিষা বাটা,ধনিয়া পাতাবাটা,শুটকি বাটা মিলিয়ে চিতই পিঠা বিক্রির সংখ্যাই বেশী।আবার কোথাও ভাপা পিঠা ও পাটি শাপটা বিক্রির ধুম পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার নারিশা পদ্মার পাড়,নারিশা বাজার,মেঘুলা বাজার,হলের বাজার,জয়পাড়া বাজার,বিলাশপুর বাজার,বাশঁতলা বাজার,কার্তিকপুর বাজার,মৈনট ঘাট-বাজারসহ অন্তত ২০টি বাজার এলাকায় এই পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে।

দোহারে বৈরী আবহাওয়ায় জমে উঠেছে পিঠা বিক্রী

বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষেরা বিকেলে বৈরী হাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে চিতই পিঠা খাওয়ায় লোভ যেন সামলাতে পারছেন না। নতুন চালের গুড়ি, নারকেল ও খেজুরগুড়ের তৈরি গরম গরম ভাপা পিঠার ও স্বাদই যেন আলাদা। পিঠা ব্যবসায়ীরা এ সময়টিকে পিঠা বিক্রী ধুম বলছে। শীতের বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন অলিগলিতে বসা খোলা আকাশের নিচে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে। মাটির চুলোর পিঠা বানানোর ধুম লেগেছে দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে। এ সময়ে সন্ধ্যায় একটু ঠান্ডা বাতাসে পিঠার সঙ্গে জ্বলন্ত লাকড়ির ওম ও পাচ্ছেন ক্রেতারা।এমনি সময়ে নানা গল্পে জড়িয়ে পিঠার দোকনগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় আর নানা কথা।সাত সকালে ঘুম ভাঙলেই দেখা মিলছে কুয়াশা আর গাছিদের খেজুর গাছের গলা কেটে রস সংগ্রহ করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করছে।রস, এই রস, রস রাখবেননি রস এইডাক শুনে অনেকের ঘুম ভাঙ্গে। আবার অনেকের ঘরে ঘরে তৈরী হচ্ছে শীতের পিঠা। সেই পিঠা আবার তৈরি হচ্ছে সদ্য কাঁটা ধানের নতুন চাল দিয়ে। দোহার উপজেলার মেঘুলা বাজারের পিঠা বিক্রেতা মো. আলম হোসেন বলেন, এই বাজারে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ শীত মৌসুমে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা বিক্রি করছি। আরেক পিঠা বিক্রেতা জামাল বলেন, নতুন চাল, নারিকেল ও খেজুরের তৈরি গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি প্রতিদিন গড়ে ৩০০ ভাপা পিঠা বিক্রি করি সাথে ৫০০টি চিতই পিঠা বিভিন্ন সু-স্বাধু সব ভর্তাবাটা দিয়ে বিক্রি করে থাকি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পাড়া বাজারে পিঠা খেতে আসা সায়ের, রানা, মাসুদ বলেন, শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে ভারী মজা। তাছাড়া এ পিঠার দামও কম এবং খেতেও খুব সুস্বাধু। তাই সন্ধ্যা বেলায় বন্ধুরা মিলে পিঠা খেতে এসেছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment