দোহারে সেভেন আপের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ 

দোহারে সেভেন আপের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ 

 

দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

ঢাকার দোহার উপজেলার উত্তর শিমুলিয়া এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হাসান (২৫) ও নজরুল ওরফে নজুর (৩০) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে উত্তর শিমুলিয়া এলাকা হতে সুমি (ছদ্ম নাম) নামের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে সেভেনআপের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে নবাবগঞ্জ উপজেলার চূড়াইন ইউনিয়নের মুসলেমহাটি গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে র্ধষণ করে হাসান ও নজু। হাসান উত্তর শিমুলিয়া এলাকার কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ও নজরুল ওরফে নজু একই এলাকার মোঃ রবের ছেলে। জানা যায়, গ্রাম সম্পর্কে হাসান ও নজু কিশোরীর চাচা হয়।

এ বিষয়ে সুমির (ছদ্ম নাম) মা জানান, হাসান ও নজু গ্রাম সম্পর্কে আমার দেবর হয়। সে হিসেবে দেখা হলে  কথা হতো তাদের সাথে এবং আমার মেয়েকে চাচ্চু চাচ্চু বলে আদরও করতো। বুঝতে পারিনি আমাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে এতোবড় ক্ষতি করবে তারা। এ ঘটনার পর মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে প্রায় ১০/১২ দিন আগে আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে সেভেন আপের সাথে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করে আমার মেয়েকে নষ্ট করে এবং ভিডিও করে আমার মেয়েকে ব্লাকমেইল করে স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। আমার মেয়ে লজ্জায় ও ভয়ে আমাদেও কিছু বলেনি। পুনরায় আবার কয়েকদিন ধরে আবার স্বর্ণ ও টাকা পয়সা দাবী করে আসছিলো ওরা। দিতে না পারলে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছিলো। তখন আমার মেয়ে বাধ্য হয়ে গতকাল ওর স্বর্ণের দুল ও বাড়ি থেকে কিছু টাকা লুকিয়ে নিয়ে বিকেলে দিতে গেলে ওরা দুজন পুনরায় আবার আমার মেয়েকে অজ্ঞান করে নবাবগঞ্জের এক গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে আবারও নষ্ট করে। পরে আমরা রাত ১১টার দিকে আমাদের মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করি। তখন আমার মেয়ের থেকে আমরা সব জানতে পারি। এখন সুমি (ছদ্মনাম) দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছে।

 

 

দোহার থানার এসআই সুলতান জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কিশোরীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি এবং ভিক্টিমের সাথে কথা বলেছি। পরবর্তী আইনগত সকল ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কার্যক্রম চলমান।

আপনি আরও পড়তে পারেন