দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারিকরণ হয়নি ৫০ বছরেও

দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারিকরণ হয়নি ৫০ বছরেও
ষাট দশকে নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর প্রাণকেন্দ্র ইছামতি নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ। কিন্তু নির্মাণের ৫০ বছরেও সরকারিকরণ হয়নি কলেজটি।
দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাইসহ পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা এসে এই কলেজে ভর্তি হন। কলেজটি স্থাপিত হয় ১৯৬৫ সালে। খাতা কলমের হিসেবে কলেজটি নির্মাণের ৫০ বছর পার হয়েছে ইতোমধ্যে। ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীঘ্রই কলেজটি সরকারিকরণ করার প্রতিশ্রুতির দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আজও সরকারি হয়নি। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, পাঁচটি বিষয়ে অনার্স এবং বিবিএসহ প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী, ৫৮জন শিক্ষক এবং অন্যান্য ১৯জন কর্মচারী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কলেজটি সরকারিকরণ এখন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারিকরণ হয়নি ৫০ বছরেও

উচ্চ শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে সাবেক ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য মরহুম আশরাফ আলী ওরফে মধু চৌধুরী, নবাবগঞ্জের সেলিম চৌধুরী, মানবেন্দ্র দত্ত, খন্দকার আলী আব্বাসসহ তত্কালীন কিছু উদ্যমী তরুণ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
১৯৬৫ সালের ১ জুলাই উপজেলা সদর সমসাবাদ এলাকায় অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে এই মহাবিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা শুরু করে। দুটি উপজেলার নাম মিলিয়ে এর নামকরণ করা হয় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ। যার সংক্ষিপ্ত নাম ডিএন কলেজ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নবাবগঞ্জের গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা, সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত আতাউদ্দিন খানের মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে কলেজটির অবকাঠামো পূর্ণাঙ্গতা পায়। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আতাউদ্দিন খান সকল স্থাপনা নির্মাণ করেন। পঞ্চাশ বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ জন অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, কলেজটি সরকারিকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ডিসি কার্যালয়ে আবেদন দেওয়া আছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলেই দ্রুত সরকারিকরণ হয়ে যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment