নবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যমুনা পরিবহনের বাস চাপায় মারা গেলো অটোরিকশা চালক।

নবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যমুনা পরিবহনের বাস চাপায় মারা গেলো অটোরিকশা চালক।

গুলিস্তান-কদমতলী-বান্দুরা রোডে দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। এবার নবাবগঞ্জ থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যমুনা পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৪৪০৪) এর চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলো অজ্ঞাত (৩৫) এক অটোরিকশা চালক।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে শাক্তা ইউনিয়নের সরকারি শাক্তা স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ হানিফ জানান, সকাল ৭:৪৪ মিনিটে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে জানতে পারি শাক্তা স্কুলের সামনে একটি দ্রুতগামী যমুনা বাস একটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়েছে এবং এর চালকের অবস্থা আশংকাজনক। আমরা খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রিকশা চালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে জানতে পারি অটো চালক মারা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ জানান, বাসটি নবাবগঞ্জ এবং অটোটি রোহিতপুর থেকে জিনজিরার দিকে যাচ্ছিলো। অটোরিকশাটি শাক্তা স্কুলের সামনে এলে পিছনদিক থেকে যমুনা বাসটি তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়, পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের সহায়তায় অটোরিকশা চালকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অটো চালকের উভয় পা’ই দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু সালাম মিয়া জানান, সকালে শাক্তা স্কুলের সামনে বাসের চাপায় এক অটো চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জনসাধারণের সহায়তায় ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও ড্রাইভার ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। নিহত অটো চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গুলিস্তান-বান্দুরা রোডে গত এক মাসে কয়েকটি দুর্ঘটনায় ৫/৭ জন লোকের মৃত্যু হলো। সুন্দর ও প্রসস্থ রাস্তাটিতে অতিরিক্ত অটো ও সিএনজির চলাচলের কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। পাশাপাশি রাস্তায় সারাক্ষণ জ্যাম লেগে থাকায় মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন