নরসিংদী পলাশে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ, ৫ কিশোর গ্যাং আটক

নরসিংদী পলাশে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ, ৫ কিশোর গ্যাং আটক

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাং এর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন।আটককৃতরা হলো, পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার কবির মিয়ার ছেলে তামজিদ মিয়া, জয়পুরা এলাকার এমরান হোসেন মৃধার ছেলে মানিক মৃধা ও আলী হোসেন মৃধার ছেলে নাঈম মৃধা, খাসহাওলা এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে আফসার মিয়া ও শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর এলাকার ওবাইদুল করিমের ছেলে তৈয়বুর করিম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো : আল-আমিন জানায়, বুধবার দুপুরে ইছাখালী দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী সিফাত পরীক্ষা শেষে বাহিরে তার বন্ধু ইতি এর সাথে কথা বলছিলো। এসময় কিশোর গ্যাং এর পাঁচ সদস্য তামজিদ মিয়া, মানিক মৃধা, নাঈম মৃধা, আফসার মিয়া ও তৈয়বুর করিম সিফাত ও ইতি আক্তারকে অশ্লীল ভাষায় কথা বার্তা বলে।
এসময় তারা জোরপূর্বক তাহাদের আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে সিফাতের নিকট হতে নগদ দুইশত পঞ্চাশ টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ইতি আক্তারের নিকট থেকে পাঠ্য বইসহ নগদ একশত ত্রিশ টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সিফাতকে বাড়ীতে যেতে হলে তাদেরকে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে নতুবা বাড়ীতে যেতে দিবে না মর্মে হুমকি দেয়।
একপর্যায়ে তারা সিফাত ও ইতি আক্তারকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করিয়া মোটর সাইকেলে সিফাতকে ও বিভাটেকে ইতি আক্তারকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাচ্ছিলো। তারা পলাশ থানার গজারিয়া ইউনিয়নের সরকারচর মোড়ে চেকপোষ্ট পার হওয়ার সময় তাদেরকে পুলিশ আটক করে। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে সিফাত ও ইতি আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে আটককৃত কিশোরগ্যাংদের নিকট হতে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার করে এবং সেই সাথে কিশোরগ্যাংদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি আটক করে।
তিনি আরো জানান, কিশোরগ্যাংদের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে জানা যায়, তাহাদের স্বভার চরিত্র ভাল না । তাহাদের ব্যক্তিগত মোবাইল পর্যালোচনায় প্রচুর অশ্লীল কনটেন্ট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সিফাতের পিতা মো: ফোরকান বাদী হয়ে পলাশ থানায় আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রত বিচার) আইনে মামলা দায়ের করেন। আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবেও বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন