নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর আশ্চর্যজনক সেবা, গাছের ডাল সরাতে ১৯ ঘন্টা!

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর আশ্চর্যজনক সেবা, গাছের ডাল সরাতে ১৯ ঘন্টা!

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় অবস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আশ্চর্যজনক সেবায় ক্ষুদ্ধ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকেরা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সদর দপ্তর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কস্তা সড়কের মেইন লাইন থেকে একটি গাছের ডাল অপসারণ করতে সময় লেগেছে ১৯ ঘন্টা। এই ১৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলো ওই এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এহেন আশ্চর্যজনক সেবায় হতবাক এলাকাবাসী। তারা এরুপ আলস্য ও গাফলতিমূলক সেবার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে মাঝারী ঝড় সহ ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্র্তৃপক্ষ। রাত ১০টার দিকে আবহাওয়া অনুকুলে চলে আসলেও পল্লী বিদ্যুতের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বিদ্যুৎ লাইন চেক করে লাইন চালুর ব্যাপারে মাঠে নামেনি। সারারাত ওই বিদ্যুৎ অফিসের আওতায় পুরো এলাকা অন্ধকারে ছিলো। ভোর হতেই অভিযোগ লাইনে ফোন করা হলে তারা ‘দেখছি’ বলে ফোনটা রেখে দিচ্ছে। এভাবে দুপুর ১২টা পার হলে বনপাড়া পৌরসভার কয়েকটি লাইন চালু করে তারা। পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর সদর দপ্তর বনপাড়া পৌরশহরের কালিকাপুরে। ঠিক একই এলাকায় মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কস্তা সড়কে একটি গাছের ডাল লাইনের উপর ভেঙ্গে পড়ে আছে এই তথ্য জানার পরেও ডালটি সরিয়ে লাইন চালু করতে কর্তৃপক্ষ সময় নেয় দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা। সোমবার বিকাল ৪টায় চালু হয় ওই লাইনটি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল সেবা খাতকে স্মার্ট হতে বলেছেন, তাহলে ১৯ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ পেলাম, এটা কিসের ‘স্মার্ট সেবা’ প্রশ্ন করা হলে পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর এজিএম (অপারেশন) আব্দুল খালেক রাগান্বিত হয়ে বলেন, ওই সব স্মার্ট সেবা-টেবা আমরা মেনে চলতে বাধ্য নই। তিনি আরও জানান, এই সেবা ভালো না লাগলে গ্রাহক থেকে নাম কেটে সরে যান। ওই এজিএম এর এমন কথা ও আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ওই সাংবাদিক।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোমিনুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন জায়গায় লাইন ঠিক করতে হচ্ছে। লোকবলের সংকট, তাই এই লাইন চালু করতে দেরি হয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন