নিরাপদ সড়ক নিয়ে কতিপয় প্রস্তাবনা শিক্ষার্থী,সরকার ও দেশবাসীর প্রতি

মুহা. আবু বকর বিন ফারুক।।
নিরাপদ সড়ক! আমরাও চাই, এটা আমাদের দাবী। সরকার এ দাবী পূরণ করলে দেশের  উন্নয়ন এবং সরকারের সুনাম হবে।
★গাড়ী চাপায় শিক্ষার্থী নিহত :
এর কারণ হলো!
 * বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালানো।
* অনভিজ্ঞ ড্রাইভারের গাড়ী চালানো।
* ফিটনেসবিহীন গাড়ী।
* অতিরিক্ত গাড়ী হওয়া।
*  নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া গাড়ী থামানো।
* ওভার ব্রিজ ব্যাবহার না করা।
* মাদ্রাসা,  স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি ও অধিক লোকালয়ে স্পিড ব্যাকার না থাকা।
* পুরাতন গাড়ী, (যান্ত্রিক ত্রুটি)  গাড়ী চালানো।
* সিরিয়াল হিসেবে গাড়ী না চালানো।
এসব কারনে দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়।
এছাড়া আরো কারণ! থাকতে পারে।
দূর্ঘটনা প্রতিরোধে কতিপয় প্রস্তাবনা :
————————————-
দূর্ঘটনা প্রতিরোধে অনেক বিষয় রয়েছে, তম্মধ্যে কতিপয় বিষয় তুলে ধরা হলো –
১.লাইসেন্স বিহীন কোন ড্রাইভার গাড়ী না চালানো।
২. প্রশিক্ষণ ছাড়া লাইসেন্স  প্রদান না করা।
৩.অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দ্বারা গাড়ী না চালানো।
৪.  বছরে একবার  ড্রাইভারদের প্রশিক্ষন প্রদান, এছাড়া ড্রাইভারদের মাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া।
৫. ফিটনেসবিহীন গাড়ী রোড়ে না চালানো।
৬. প্রশাসনিক লোকেরা আরো একটিভ ভাবে কাজ করা।
৭.উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সড়ককে নিরাপদ সড়কে পরিনত করা।
৮.এ কাজে দোষীদের জন্য শাস্তি দেয়া।
৯.  অন্যায়কারীর ফাইন দেয়া।
১০.সিসি টিভির মাধ্যমে কন্ট্রোল করা।
১০. মনিটরিং  কমিটি থাকা।
১১.কোন গাড়ী কোন লাইনে চলবে ঠিক করে দেয়া।
১২. বছরে প্রয়োজন মাফিক সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নেয়া।
১৩.গাড়ীর গতিসীমা ঠিক রাখা।
১৪. দূর পাল্লার গাড়ীর জন্য একাধিক ড্রাইভার রাখা।
১৫. সিগনাল বাতির আরো ব্যাপক ব্যাবহার করা।
১৬.স্টপেজ ছাড়া গাড়ী না থামানো।
১৭. যেখানে সেখানে পার্কিং না করা।
১৮. অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রতিরোধে ব্যাপক ও সহজভাবে ই টিকেটিং ব্যাবস্থা করা।
১৯.অভিযোগ ও মোবাইল কোর্ট থাকা।
এছাড়া আরো কতিপয় প্রস্তাবনা রয়েছে।
 সর্বোপরি কথা হলো :
 একটি পরিকল্পিত নিরাপদ সড়ক ব্যাবস্থাই পারে দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করা।
বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যা প্রয়োজন :
* শিক্ষার্থীদের দাবী সঠিক হওয়ায় তাদের সাথে আলোচনা করা।
* পুলিশ বা কোন দলীল লোক তাঁদের উপর হামলা না করা।
(এজন্য প্রয়োজন :প্রতিটি দল থেকে তাঁদের দাবীর বিষয়ে মতামত দিয়ে, তাদের অবস্থান জানানো, যাতে নেতা-কর্মীরা কোন নাশকতা না করে)
* পুলিশ তাঁদের সাথে আলোচনা করা।
* সরকার তাঁদের সাথে আলোচনায় বসা।
* আন্দোলন রত কোন শিক্ষার্থী  দের বিষয়ে কোন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান হস্তক্ষেপ না করা।
* আহত শিক্ষার্থীদের  চিকিৎসা সেবা দেয়া।
* সরকার, শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিক সমিতি আলোচনায় বসা।
* অন্দোলন পরবর্তি সময় পনিবহন, শ্রমিকরা অন্দোলন বা মাঠে না নামা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু কথা :
————————————–
আন্দোলন দরকার ছিল, হয়েছে। এখন  আল্টিমেটাম দিয়ে থাকা দরকার।
শিক্ষার্থী সেজে বহিরাগত কেহ কোন অপ্রীতিকর কোন দূর্ঘটনা করলে, এর দ্বায়ভার শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে।
প্রশাসনকে দেখানো দরকার ছিল অনিয়মগুলো, দেখানো হয়েছে।এখন থামা দরকার।শিক্ষার্থীরা কিছু অন্যায়মূলক ভাষা ব্যাবহার করেছ, এটাসি ঠিক,যাহোক এটা ভুল করেছ, তবুও এবার থামা দরকার। গাড়ী ভাংচুর ঠিক হয় নি, যেটা দোষ করেছে, সেটা ছাড়া অন্য গাড়ী ভাংচুর হয়েছে, তবুও থেমে যাও।
ঢাকার শহরে কিভাবে নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া যায়, দেখানো দরকার, দেখানো হয়েছে,তাই এখন থামা দরকার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশবাসী সমর্থন করেছে, তাই তাঁদের উপর কোন টর্চারিং করলে বিপদ আসতে পারে, এজন্য কোন দলের জন্যই ক্ষমতায় অপব্যাবহার না করা।
আইনের লোকের জন্যও আইন মানতে হয় বুঝলাম, নিহিতদের পরিবার ২০ লাখ করে ৪০ লাখ পেয়েছে, সরকার সকল দাবী মেনে নিয়েছে, প্রশাসন সহ দেশবাসী জেগেছে। নিরাপদ সড়কের কথা দেশবাসী জেনেছে। হাস্য মন্ত্রী ভুল বুঝেছে। ন্যায় -নীতি কি জিনিস বুঝা গেল, তাই এখন ঘরে ফিরা যায়।
তবে, কোন প্রতিষ্ঠান কোন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার সাহস যেন না করে।
এখনই সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে শিখে নেয়া।
লেখক: মুহা.আবু বকর বিন ফারুক।।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment