নেইমারই বিশ্বকাপ জেতাতে পারবে ব্রাজিলকে

নেইমারই বিশ্বকাপ জেতাতে পারবে ব্রাজিলকে

প্রাক মৌসুম থেকেই দেখা মিলছিল সেই পুরোনো নেইমারের, যিনি একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ। সে ফর্মটা ২০২২-২৩ মৌসুমেও টেনে এনেছেন তিনি। পিএসজির প্রথম দুই ম্যাচে লিওনেল মেসিকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ পারফর্ম্যান্সই উপহার দিয়েছেন। পিএসজির হয়ে এমন ফর্মে থাকা নেইমারই ব্রাজিলকে এনে দিতে পারেন ষষ্ঠ বিশ্বকাপের ছোঁয়া, বিশ্বাস দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর।

গেল মৌসুমের শেষ থেকেই নেইমারকে নিয়ে অনেক ফিসফাস ছিল পিএসজিতে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে গুঞ্জন ছিল নেইমারকে নাকি বেচেই দেবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। সেটাই ব্রাজিল তারকার আঁতে ঘা দিয়েছে রীতিমতো, চলতি মৌসুমে তাই নিজেকে নতুন করে প্রমাণের মিশনেই যেন নেমেছেন তিনি।

ত্রফি দেস চ্যাম্পিয়ন্সের ম্যাচে করেছিলেন জোড়া গোল, গত রাতে লিগের প্রথম ম্যাচে তিনি এক গোল করেছেন, করিয়েছেন আরও ৩টি গোল। এমন মনোযোগী নেইমারকে দেখার আরেকটা কারণ হতে পারে বিশ্বকাপ। এ বছর নভেম্বরে ফুটবলের বিশ্ব আসর বসবে কাতারে। সেই বিশ্বকাপই হয়ে যেতে পারে তার শেষ, নেইমার তা বলে দিয়েছিলেন আগেই। শেষ বিশ্বকাপটা রাঙাতেও হয়তো নিজেকে একটু বেশি ঝালিয়ে নিচ্ছেন ব্রাজিল তারকা।

নেইমারের এমন মনোযোগী হওয়াতেই আশার পালে হাওয়া পাচ্ছেন রোনালদো। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘ব্রাজিলের যে প্রতিভা আছে, তাতে দলটা বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট হয়েই কাতারে যাবে।’

‘নেইমার যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে শতভাগ ফিট থাকে, আর বিশ্বকাপের প্রতি মনোযোগী থাকে, তাহলে আমাদের শিরোপা জেতার ভালো সুযোগ আছে।’

ব্রাজিলের অন্য খেলোয়াড়রাও বেশ প্রতিভাবান। তবে রোনালদোর বিশ্বাস, বড় অবদানটা নেইমারের কাছ থেকেই আসবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দারুণ কিছু খেলোয়াড় নিয়ে গড়া একটা দুর্দান্ত দল আছে। কিন্তু টেকনিক্যাল আর শারীরিক দিক থেকে বিষয়টা বেশ ভিন্ন। সে (নেইমার) যদি ভালোভাবে বিশ্বকাপে আসে, সেই পার্থক্যটা গড়ে দেবে, আর বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে আমাদের।’

২০০২ সালে সবশেষ বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ব্রাজিল। এরপর থেকে ২০ বছর কেটে গেলেও আর শিরোপা জেতা হয়নি দলটির। নেইমার আর তার দলের ওপর বড় চাপই থাকবে এবার। ব্রাজিল দলে যে প্রতিভা আছে, তাতে অন্যতম শিরোপার দাবিদারই থাকবে দলটি, তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেও পড়বে বেশ। ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগালও যে ছেড়ে কথা বলবে না!

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন