নেত্রীর নামে মামলা না করায় মন্ত্রী গাজীকে ২৭ দিন টর্চার- মন্ত্রী গাজী

নেত্রীর নামে মামলা না করায় মন্ত্রী গাজীকে ২৭ দিন টর্চার- মন্ত্রী গাজী
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ ঃ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা না করায় তৎকালীন প্রশাসন বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে ২৭ দিন টর্চার করেছিলো। ২৩ এপ্রিল শনিবার, সেই সময়ের ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, এমপি। তিনি বলেন, হঠাৎ করে আমার বাসায় র‌্যাব এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেল। আমাকে তারা বলল আপনি শেখ হাসিনাকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন নিয়েছেন । এই জন্য আপনাকে আটক করা হইল। আমাকে নিয়ে রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে তারা টর্চার করেছে। ইলেকট্রিক শট দিয়েছে । সারারাত ঘুমাতে দেয়নি। তারা আমাকে জোর করে স্বীকার করাতে চেয়েছিলো আমি শেখ হাসিনাকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন নিয়েছি। আমাকে স্বীকার করাতে পারলেই তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা দেবে। আমাকে শেখ হাসিনার নামে মামলা দিতে বলেছিলো। আমি তাদেরকে বলেছিলাম আমি মরে গেলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা দিতে পারবো না। আমাকে মাইরে ফালান তাও আমি নেত্রীর মামলা দিতে পারবো না। তখন নেত্রী লন্ডনে ছিলেন। আমি মামলা দিলে সেই মামলা লন্ডনে দেখিয়ে তারা শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী তখন খবর পেয়েছিলেন গাজীকে আটক রেখে তার বিরুদ্ধে দেশে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি বলেছি আমি মরে গেলেও শেখ হাসিনার নামে মামলা দেবো না। ক্যান্টরমেন্টের জেল খানায় আমাকে রাখা হয়েছে। আমাকে ২৭ দিন টর্চার করছে। তারপর একদিন দেখি সিপাইরা বলাবলি করছে শেখ হাসিনা দেশে এসেছে। নেত্রী দেশে আসার পর আমাকে তারা টর্চার করে নাই। আমার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা করে আমাকে কোর্টে নিয়ে গেছে। আমি বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বলে হাইকোর্ট আমাকে সেদিন মুক্তি দিয়েছে।
গতকাল বিকালে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পাল , রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল প্রমুক।

আপনি আরও পড়তে পারেন