পটুয়াখালীতে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩

পটুয়খালীর গলাচিপায় এক কিশোরকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই কিশোরের মামি মমতাজ (৪৫), মামাতো বোন তানিয়া (৩০) ও প্রতিবেশী শামিম (৪০)।

এ ঘটনায় ওই কিশোরের সৎ মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার মূলহোতা হজরত আলী এখনও পলাতক রয়েছেন।

মামলার বাদীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই কিশোরের বাবা-মা ঢাকায় ছিলেন। গত ৯ এপ্রিল মামার বাসা থেকে ৮৫ হাজার টাকা চুরির অপবাদে তাকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে তিন দফা মারধর করেন হজরত আলী। এ সময় আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন বিষয়টি দেখে ভিডিও করে। ঘটনার পর থেকে ওই কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। মারধরের খবর পেয়ে বাবা-মা ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে থানায় অভিযোগ করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কিশোরকে গাছের সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে হজরত আলী নামে এক ব্যক্তি বেধড়ক মারধর করছে। আর তা দাঁড়িয়ে দেখছেন ওই বাড়ির লোকজন। এ সময় অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। মারধরে মুন্নার শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফেটে রক্ত পড়তে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোয়ালিয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ৯-১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় ওই কিশোরের ওপর অমনাবিক নির্যাতন চালানো হয়। শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে ১১ মে রাতে শিকলসহ পালিয়ে যায়েসে। বর্তমানে ওই কিশোরকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার বলেন, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ওই কিশোরকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন