পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ গিলে খাচ্ছে শত শত ঘরবাড়ি

পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ’র তীব্র স্রোতে মাদারীপুরে বিলীন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শত শত ঘরবাড়ি। পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ বাড়ছে নদী তীরবর্তী মানুষের। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও কার্যত তা অকার্যকর। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র স্রোতে এক সপ্তাহ ধরে মাদারীপুরে দিয়ে প্রবাহিত নদ- নদীগুলো উত্তাল। পদ্মার ভয়াল থাবায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মাত্র ১২ মিনিটে বিলীন হয়ে গেছে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত শিবচরের ‘নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি’। এতে লেখাপড়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে স্রোতে শত শত ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ। ঘরবাড়ি হারিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দোরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক,একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ‘ভাঙন রোধে কাজ চলমান থাকলেও স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে ডাম্পিং কার্যক্রম থেকে অনেকটাই সরে আসতে হয়েছে।’

পানিবন্দি মানুষকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান মাদারীপুর জেলা ড. রহিমা খাতুন।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, মাদারীপুরের ৪টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানি

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, মাদারীপুরের ৪টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ৮ শতাধিক পরিবার।

আপনি আরও পড়তে পারেন