পাকিস্তানকে হারিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে হারিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নসশিপের প্রথম আসর একেবারেই ভালো যায়নি বাংলাদেশ দলের। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে সবগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি টাইগাররা, যে ৭ ম্যাচ খেলেছে সেখানে জয় নেই একটিও। ১টি ম্যাচ ড্র করে পায় ২০ পয়েন্ট। অর্জন বলতে এতটুকুই। পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে থেকে শেষ করতে হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ আসর।

এবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন মৌসুম শুরু করবে বাংলাদেশ দল। যেখানে গতবারের পুনরাবৃত্তি চান না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ঘরের মাঠে খেলা বলেই ভালো শুরুর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাবেক এই অধিনায়ক।

আজ (রোববার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাশার বললেন, ‘আমরা গতবারের পুনরাবৃত্তি চাই না। চাই এবারের চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করতে। আমরা দেশের মাটিতে খেলতে পারছি, এটা সুবিধা। যদিও পাকিস্তান খুব ভালো দল। কিন্তু আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’

সঙ্গে আরও বলেন বাশার, ‘এবার আমরা প্রস্তুতি নিয়ে নামতে পারছি। আমি আশা করছি এবার ভালোভাবে মৌসুম শুরু করতে পারব। ভালো শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ। গতবার সাথে সাথে ফলাফল ভালো হয়নি। পরে আর কামব্যাক করতে পারিনি। টেস্ট দলগুলো যথেষ্ট ভালো, প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে।’

অতীতে চোখ রাখলে দেখা যায় কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টেস্ট সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। এর ব্যত্যয় দেখা যায়নি কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ে সফরেও। ঢাকা প্রিময়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলে প্রস্তুতি সারতে হয় টেস্ট সিরিজের। এবার অবশ্য টেস্ট মেজাজেই থাকবে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। তবে প্রশ্ন উঠেছে ভিন্ন জায়গায়।

এনসিএল জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। এই টুর্নামেন্ট চলাকালীনই শুরু হবে পাকিস্তান সিরিজের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয়। এক সুরক্ষা বলয় থেকে আরেক সুরক্ষা বলয়ে যাওয়ার আগে বিশ্রাম পাবেন খেলায়াড়রা?

বাশার বলছিলেন, ‘কোচিং ম্যানেজমেন্ট আসলে এটা চূড়ান্ত করা হবে। আমরা চাই যত বেশি সম্ভব খেলুক। একটা বিশ্রাম কিন্তু তারা পেয়েছে। টেস্ট ম্যাচের আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট যত খেলা যায় খেলোয়াড়দের জন্য ততই ভালো। হ্যাঁ, মানসিক বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা চাই যত বেশি সম্ভব খেলুক।’

আপনি আরও পড়তে পারেন