পাত্র দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, ঘটক গ্রেপ্তার

পাত্র দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, ঘটক গ্রেপ্তার

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের পাত্র দেখানোর নামে এক কলেজছাত্রীকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তিন দিন পর শনিবার রাতে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ রহবল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও ঘটক শাহিনুর রহমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) ভিকটিমের বাবা শিবগঞ্জ থানায় ঘটকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

শিবগঞ্জের ওসি সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটক এর আগে তিন তরুণীকে পাত্র দেখানোর কথা বলে নিজেই বিয়ে করেন। তবে তার সে সংসার টেকেনি। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের মৃত মোবারক প্রামাণিকের ছেলে শাহিনুর রহমান বিয়ের ঘটক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটক শাহিনুরের সঙ্গে কলেজছাত্রীর বাবার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তার মেয়ের জন্য ভালো পাত্রের সন্ধান দেন। পাত্র দেখানোর নামে তিনি ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান।

গত ১৩ অক্টোবর বেলা ১০টার দিকে ছাত্রী কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তবে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। কল দিলেও ঘটক তা ধরেননি।

এদিকে ঘটক শাহিনুর ওই ছাত্রীকে বর দেখানোর নামে কৌশলে অপহরণ করে উপজেলার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। টের পেয়ে ১৬ অক্টোবর রাতে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে ঘটক পালানোর চেষ্টা করে। তখন প্রতিবেশীরা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটক শাহিনুরকে গ্রেপ্তার ও কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে।

ওসি আরও জানান, ঘটক শাহিনুর রহমান একজন প্রতারক। তিনি এর আগে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে নিজেই তিন নারীকে বিয়ে করেন। পরে নারীরা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। অপরহণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রীর বাবা ঘটকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন