পাশ করতে পারলে এবারও পুরো বেতন জনসেবায়- মাসুদ আলম

পাশ করতে পারলে এবারও পুরো বেতন জনসেবায়- মাসুদ আলম
মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো: মাসুদ আলম । গতবার সদস্য নির্বাচিত হয়ে বেতনের পুরো টাকাই মসজিদ,মাদ্রাসা ও জনগণের সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের পকেটে নেন নি এক টাকাও। শুধু বেতনই নয়,নিজের পকেট থেকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে আসছেন অসহায় মানুষদের পেছনে। ভোটারদের দাবি এবারও তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ড (হোসেনপুর) এ বিজয়ী হবেন। আর নির্বাচিত হয়ে এবারও বেতনের পুরো টাকাই তিনি ব্যয় করতে চান জনসেবায়। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় জনসেবায় তিনি যেন উজ্জল এক নক্ষত্র। একজন সৎ, ধর্মপরায়ন ও শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসেবে তিনি নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন শাহেদুল উত্তরপাড়া হাজী আব্দুল জব্বার ও ফাতেমা খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা,ফাতেমা খাতুন হেফজুল কোরআন ও ফুরকানিয়া মাদ্রাসা।একই সাথে তিনি এস.আর.ডি শামসুউদ্দিন ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থায়ী দাতা সদস্য এবং ডি.এস. দাখিল মাদ্রাসারও স্থায়ী দাতা সদস্য। অসহায় বৃদ্ধার ঘর করে দেয়া, রোগীর চিকিৎসার খরচ দেওয়া, এতিমদের পড়াশোনা ও খাবার এসব তিনি নিয়মিতই করে আসছেন।
২০১৬ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া থানার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি বিপুল ভোটের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সারা দেশের ১২২০ জন সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ মেম্বার্স এসোসিয়েশন গঠিত হয়। এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক দক্ষতা পর্যালোচনা করে বিভাগীয় সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
জেলা পরিষদের এবারের নির্বাচন নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,’ছোটবেলা থেকেই নিজেকে সমাজের মানুষের সেবায় নিয়োজিত করার ইচ্ছা ছিলো। সে ইচ্ছা অনুযায়ী আমি সর্বোচ্চ চেস্টা করি। আশা করি ভোটাররা এবারও আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি সারা জীবনই মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’
তার বড় ভাই ও শাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ উদ্দিন জানান, সে সব সময় মানুষের সেবা করতে চায়। গত নির্বাচনে পাশ করার পর পুরো বেতনই জনসেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন। পাশিপাশি প্রতিমাসেই নিজ পকেট থেকে লক্ষাধিক টাকা মানুষের সেবায় খরচ করছেন। আশা করছি এবারও সে বিজয়ী হবে।
প্রসঙ্গত,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে তিনি টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন