পৃথিবীতে ভালোবাসার মানুষ মা

পৃথিবীতে ভালোবাসার মানুষ মা

আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মা দিবস উদযাপন করা হয়। মা দিবসের উদ্দেশ্য হলো- সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে, মা ছাড়া এই পৃথিবীতে আপন নিবাসের ঠিকানা খুবই কম। মায়েদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এই দিবস।

দিনটি উপলক্ষে দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে মাকে ভালোবাসা জানিয়েছেন বহু সন্তান। মায়া-মমতার খনি যাকে বলা হয় তিনি হলেন মা। একজন সন্তান জন্মের পর থেকে আমৃত্যু যার ছায়ার পরশে জীবনকে বেঁধে রাখেন তিনি হলেন মা। মায়ের সমার্থক শব্দ গুনে শেষ করা যাবে না। কিন্তু ‘মা’ এর চেয়ে মধুর ডাক পৃথিবীতে আর কিছু নেই।

মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির কথা ভেবেছিলেন। অ্যানা জারভিসের সেই ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন।

বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বের ৩৭টিরও বেশি দেশে মা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, বারবাডজ, বাহামাস, কানাডা, কলোম্বিয়া, চেক রিপাবলিক, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, সিঙ্গাপুর নিউজিল্যান্ডসহ অন্তত ২৭টি দেশে পালন করা হয়ে থাকে।

এ ছাড়া নরওয়েতে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় রোববার, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, সার্বিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ মা দিবস পালন করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মা দিবস পালন করা হয় ২১ মার্চ। এছাড়া, মে মাসের অন্যান্য দিন, জুন, আগস্ট, অক্টোবর এবং নভেম্বরেরও কয়েকটি দেশে মা দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন