প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীকে যা মেনে চলতে হবে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রচারণা শুরু হবে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কোনো প্রার্থী এ নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।

ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে-নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো রঙিন পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। পোস্টারে প্রার্থী ছাড়া দলীয় প্রধানের ফটো ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া এসব পোস্টার কোনো দেয়ালে না লাগিয়ে দঁড়িতে ঝুলিয়ে প্রচার করতে হবে।

৪০০ বর্গফুট এলাকার বেশি বড় কোনো প্যান্ডেল করে প্রচার চালানো যাবে না। তবে কাপড়ের তৈরি ব্যানার করে প্রচার চালানো গেলেও ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হয়, এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়া দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকে প্রচার চালানো যাবে। একই নির্বাচনী এলাকায় কোনো অবস্থাতেই তিনটির বেশি লাউড স্পিকার নয়। নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ইউনিয়ন আর পৌর এলাকার ওয়ার্ডপ্রতি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে হবে একটি।

মোটরসাইকেলসহ যেকোনো মোটরগাড়িতে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রচারণায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।

পোস্টারের সাইজ দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রচারের অংশ হিসেবে যেকোনো প্রকার দেয়াল লিখন, পোস্টার সাঁটানো দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রচারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অন্য কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সম্মানহানিকর কিছু করতে পারবে না। এ ছাড়া কোনো উসকানিমূলক ব্যক্তব্যও দেয়া যাবে না।

প্রচারণায় সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সব সুবিধা ত্যাগ করে প্রচারকাজে অংশ নিতে হবে। কোনো ডাকবাংলো ব্যবহার, সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ প্রটোকলও ব্যবহার করা যাবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আইনে অনুমতি থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রটোকল পাবেন।

সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের মেয়ররাও সুবিধাভোগের বাইরে থাকবেন। তবে সরকারি কাজে তারা সরকারি সুবিধা পারেন। কিন্তু সরকারি কাজে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। এছাড়া দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কেউ হেলিকপ্টারও ব্যবহার করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment