প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

করোনাকালের সরকারি প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এসএমই খাত। আগস্ট পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দের মধ্যে বিতরণ হয়েছে ২০ ভাগেরও কম। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চেয়ে বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলো। আর প্রণোদনার অর্থের সঠিক ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের নামমাত্র মূল্যে ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে ডাটাবেজের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। 

করোনা শুরুর পর থেকে অর্থনীতির ধাক্কা সামাল দিতে বিভিন্ন খাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এসব প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য। এক বছর মেয়াদী ঋণের সুদের হার ধরা হয় ৯ শতাংশ। এর মধ্যে সাড়ে ৪ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা এবং সাড়ে ৪ শতাংশ সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৩ হাজার ১শ’ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে দু’মাস সময় বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঋণ দেয়ার সময় বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বরাবরই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে অনীহা ব্যাংকগুলোর। অথচ করোনা সংকটে প্রণোদনার অর্থ ছোট ব্যবসায়ীদের আগে দেয়া উচিত ছিল।

এ প্রসঙ্গে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অতিক্ষুদ্র যাদের পুঁজি ছিল ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা তাদের আগে পুঁজির ব্যবস্থা করা দরকার। যেন তারা ব্যবসায় ফিরে আসতে পারে। বড় ব্যবসায়ীরা, যাদের খুব বেশি প্রয়োজন নেই তারা টাকা নিয়ে গেছেন, যাদের খুব বেশি প্রয়োজন তারা পাননি।

অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার নেই ট্রেড লাইসেন্স। নেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। তাই একটি ডাটাবেজ করে দ্রুত ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিলেন অর্থনীতিবিদ ড. আবু ইউসুফ।

দোকান মালিক সমিতি বলছে, অন্তত ৬০-৭০ লাখ ব্যবসায়ী অপ্রচলিত ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

আপনি আরও পড়তে পারেন