প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেল ই-সিগারেট

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেল ই-সিগারেট

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদন পেয়েছে ই-সিগারেট। সম্প্রতি দেশটির খাদ্য ও ‍ওষুধ বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এই অনুমোদন দিয়েছে।

তবে কেবলমাত্র টোবাকো ফ্লেভারযুক্ত তিনটি ই-সিগারেটের বৈধতা দিয়েছে এফডিএ। এই পণ্যগুলো আরজে রেনল্ডস ব্র্যান্ডের।

ফল-মূল, মিন্ট বা অন্যান্য ফ্লেভারযুক্ত অন্যান্য ব্র্যান্ডের ই-সিগারেট পায়নি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন এখনও পায়নি।

এফডিএ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ধূমপায়ীদের সিগারেট থেকে দূরে রাখা ও দেশে সিগারেটের কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণ করতেই ই সিগারেটকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাবহার হচ্ছে ই-সিগারেট; কিন্তু ইদানিং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই পণ্যটির ব্যবহার বাড়তে থাকায় উদ্বেগে আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছিল দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। তাতে দেখা গেছে, চলতি বছর ই-সিগারেটসেবী কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং তাদের ৮০ শতাংশই ফলমূল, মিন্ট বা অন্যান্য ফ্লেভারের ই-সিগারেট নিয়মিত সেবন করে।

এফডিএর তামাকজাত পণ্য বিভাগের পরিচালক মিচ জেলার এ সম্পর্কে বিবিসিকে বলেন, ‘এই পন্যটির প্রস্তুতাকারী বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য পর্যালোচনা করা আমাদের মনে হয়েছে, সিগারেটে অভ্যস্ত ধূমপায়ীদের সিগারেট ছাড়ার ক্ষেত্রে তামাকের ফ্লেভারযুক্ত ই সিগারেট বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’

‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে সিগারেটের কেনা-বেচা সীমিত করতে চাইছি। এক্ষেত্রে এসব (তামাকের ফ্লেভারযুক্ত) ই সিগারেট সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

অন্যান্য ফ্লেভারের ই সিগারেটগুলোকে কেন অনুমোদন দেওয়া হলো না- বিবিসির এ প্রশ্নের উত্তরে এফডিএর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানো, ই-সিগারেটকে উৎসাহিত করা নয়।’

‘তাছাড়া, স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বর্তমানে ই-সিগারেটসেবীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এতে উদ্বিগ্ন এবং এটি নিরুৎসাহিত করতে চাই। এ কারণে অন্যান্য ফ্লেভারের ই সিগারেটের অনুমোদন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত আমাদের নেই।’

এদিকে এফডিএর এই পদক্ষেপে হতাশা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ধূমপানবিরোধী সংগঠন দ্য আমেরিকান লাং অ্যাসোসিয়েশন। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক এই অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে এটি স্পষ্ট যে, দেশে ধূমপান নিয়ন্ত্রণে এফডিএ ব্যর্থ।

আপনি আরও পড়তে পারেন