বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের বিচারের নথি চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীর বিচারের প্রথমবারের মতো নথিপত্র চেয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

মঙ্গলবার (৫নভেম্বর) ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এই তথ্য জানান।

রাশেদ চৌধুরীর বিষয়টি তিনি বৈঠকে তুলেছিলেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, আমরা আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কিন্তু আমাদের একটি সমস্যা আছে, রাশেদ চৌধুরী আপনাদের দেশে পালিয়ে আছে। আমরা তাকে ফেরত চাই।

জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিচারের নথিপত্র দেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব এবং তারপর আপনাদের জানাব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই প্রথম এই বিচার প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নথিপত্র চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যার্পণ চেয়ে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য।

তারপর ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারের পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে; মামলার পর বিচার শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর ফের শ্লথ হয়ে যায় মামলার গতি।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দণ্ডিত সুলতান শাহরিয়ার রশিদসহ পাঁচজনের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।

বাকীদের একজন মারা গেছেন এবং ছয়জন পলাতক আছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন