বাংলাদেশে ভালো করতে গেলে ‘গায়ে জোর’ থাকতে হবে : আফ্রিদি

বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেট। পেসারদের জন্য ‘নিষ্প্রাণ’ বলা যায়। অথচ পাকিস্তানি পেসাররা বাজিমাত করে চলেছেন। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের হারানো ২১ উইকেটের ১৩টিই পেসারদের দখলে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংসে স্বাগতিকদের ২০ উইকেটের ১৬টি নিয়েছেন দ্রুতগতির বোলাররা। মূলত শক্তপোক্ত শাহিন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলিরা গায়ের জোর খাটিয়েই সফলতা পাচ্ছেন বাংলাদেশে।

৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদি বলেন, ‘এশিয়ার সব উইকেটই আসলে কম-বেশি ধীরগতির। লোকে বলে যে স্পিনারদের সহায়তা বেশি মেলে। তবে শক্তপোক্ত হলে ও গায়ে জোর থাকলে এখানেও কার্যকর হওয়া যায়। জুটি বেধে বল করতে হয়। হাসানেরও এখানে কৃতিত্ব আছে এবং হাসানের সঙ্গে যখনই আমি বোলিং করি, আমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেই যে, কে কখন আক্রমণ করবে, কে রান আটকাবে। হাসানেরও ভূমিকা আছে।’

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। টানা পাঁচ জয়ের পর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। সেমিতে ৪ অভার বল করে ৪৪ রান দেন হাসান, থাকেন উইকেট শূন্য। সে ম্যাচের নায়ক ম্যাথু ওয়েডে ক্যাচ ছেড়ে হাসান নিজে খলনায়ক বনে যান। তবে বাংলাদেশে এসে অপ্রতিরোধ্য হাসান। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১ ম্যাচ খেলে নেন ৩ উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে শিকার ৭ উইকেট।

কম যাচ্ছে না আফ্রিদিও। একই টেস্টে তার দখলেও ৭ উইকেট। হাসানের সঙ্গে নতুন।বলে জুটি বাধা আফ্রিদি বলেন, ‘হাসানের সঙ্গে বোলিং দারুণ উপভোগ করি। এবছর ৩৯ উইকেট ওর, আমার ৪৪টি। আমরা জুটি বেধে বোলিং করি এবং নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করি, কোনো ব্যাটসম্যান ভালো খেলতে থাকলে কিভাবে তাকে আটকে রাখা যায় বা দ্বিধায় ফেলা যায়। হাসানের সঙ্গে বোলিং করতে তাই ভালো লাগে। কারন সে লড়াকু, লড়াই চালিয়ে যায়।’

নিজেকে নিয়ে আফ্রিদির মূল্যায়ন, ‘আমার কাছে ব্যাপারটি হলো, ৩ ওভারের স্পেল হোক বা ৫ ওভারের, আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এভাবেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা আগের টেস্টের মতো পারফরম্যান্স দিতে চাই।’

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন