বারোমাসি তরমুজ চাষ, ফলন ৬০ দিনে

বারোমাসি তরমুজ চাষ, ফলন ৬০ দিনে

প্রথমবারের মতো নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ নওদাপাড়া গ্রামের জিয়ারুল হক হলুদ-কালো রঙের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন। বারোমাসি এ জাতের তরমুজ চাষে খরচ কম। পাশাপাশি ফলনও বেশি। মাত্র ৬০ দিনেই এ জাতের তরমুজের ফলন পাওয়া যায়। অসময়ের তরমুজ বলে বাজারে দামও চড়া।

জানা যায়, বেগুন চাষে সফল না হওয়ায় জিয়ারুল হক পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির আঙিনায় ১২ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন হলুদ ও কালো তরমুজের ক্ষেত। তার তরমুজের ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন আশপাশের মানুষ ভিড় করছেন। তরমুজ চাষে আগ্রহও প্রকাশ করছেন অনেকে।

তরমুজ চাষি জিয়ারুল হক  বলেন, গত বছর এই জায়গায় বেগুন চাষ করেছিলাম। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে সেখানে তরমুজ চাষ করেছি। এতে ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথম দফায় বাজারজাত করে ভালো দাম পেয়ে আমি খুশি। প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। অনেকে এই তরমুজ চাষ করার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রঞ্জু  বলেন, গত ৬ জুন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করে জিয়ারুল। মাত্র ৫০ দিনেই তরমুজ পাকতে শুরু করেছে। বর্তমানে পুরোপুরি খাওয়ার উপযোগী হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিকভাবে তাকে সহযোগিতা করেছে।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস  জানান, অসময়ে তরমুজ চাষ এবারই প্রথম উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সিংড়ার সুকাশে শুরু করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এ তরমুজ চাষে কৃষকের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৬০ দিনে এই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হয়। এটা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকের একটি লাভজনক ব্যবসা। উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই ফল চাষ করা হয়। এখন অনেকেই এই তরমুজ চাষে পরামর্শ নিতে আসছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন