বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করে সরকার। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও সারাদেশে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় কঠোর লকডাউনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ভাড়া ও দোকান ভাড়া মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার।

বিজ্ঞপ্তিতে বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্ম হারিয়ে তারা আজ দিশেহারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ভাড়াটিয়াদের কষ্ট-দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে। এ অবস্থায়ও অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়িয়েছেন। অনেক ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছেন। কর্মহীন থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়া পরিশোধ তাদের সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। অসহায় দরিদ্র এ সব ভাড়াটিয়ার এক মাসের ভাড়া মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভাড়া থাকেন। লকাডাউন ও ঈদের কারণে সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন, এখনো অনেকে ছাড়ছেন। ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে পারবেন কি না তা অনিশ্চিত। আর ঢাকায় ফিরলেও কর্মে ফিরতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। সরকার করোনা মহামারির প্রকোপ কমাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু অসহায় ভাড়াটিয়াদের দুর্ভোগ লাঘবে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। আমরা ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের উভয়ের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে একটি বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন