বিএনপির কমিটিতে আওয়ালীগ নেতাদের নাম তৃণমূলে ক্ষোভ

বিএনপির কমিটিতে আওয়ালীগ নেতাদের নাম তৃণমূলে ক্ষোভ

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির ৯টি ওয়ার্ডে কমিটি প্রায় চুড়ান্ত করা হয়েছে।  বুধবার (৬ এপ্রিল) বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওইসব কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের নামও রয়েছে।
তবে বিএনপির কমিটিতে থাকা ওইসব আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপির কমিটিতে তাদের নাম রাখায় মামলা করবেন। এ নিয়ে রূপগঞ্জের সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির ৭টি ওয়ার্ড কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ মাস্টার ও সদস্য সচিব হাজী আব্দুল মতিন ওইসব কমিটি ঘোষণা করেন।
মোটা অংকের টাকার বিনিয়ময়ে সবকটি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রচারণা রয়েছে। তাছাড়া বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কমিটি দেয়ায় ত্যাগী ও মাঠের শত শত নেতাকর্মী বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পদ বঞ্ছিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যে দলে টাকার বিনিময়ে কমিটি হয়, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে জানে না, সেই দলে আমরা নেই। গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
তাছাড়া হাজী আব্দুল মতিন সব সময় আওয়ামী লীগের হয়েই কাজ করেন। আর আব্দুল আজিজ মাস্টার কখনো বিএনপির মিছিল, মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ না করলেও তাকে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এজন্যই আওয়ামী লীগ ঘেঁষা সকল ইউনিট কমিটি করা হচ্ছে।
গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড নেতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলেও তারা জানান। কমিটিতে ২১ বছর বয়সী ছাত্রদল নেতাদের নামও রয়েছে।
রূপগঞ্জে বিগত দিনে কাজী মনিরুজ্জামান ও এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার একইভাবে কমিটি গঠন করে বিতর্কিত হয়ে আজ দলছুট নেতা হয়েছেন। তেমনিভাবে বিতর্কের খাতায় নাম লিখছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুও।
গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ মাস্টার জানান, ওয়ার্ড কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতার নাম রয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে কমিটিতে অধিকাংশ নাম দিয়েছেন সদস্য সচিব আব্দুল মতিন। তাছাড়া টাকা লেনদেনের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা যায়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন