বিমান বন্ধ করে করোনা ঠেকানো যাবে না : ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করার পর নাজুক পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্বের বহু দেশই ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আবার অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর গত নভেম্বর থেকে আফ্রিকার একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে অনেক দেশ। তবে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এভাবে করোনা সংক্রমণ আটকানো সম্ভব নয়।

সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বুধবার জাতিসংঘে এ বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। দীর্ঘ বৈঠকের পর তারা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে করোনাকে আটকানো সম্ভব নয়। এর ফলে কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়।

প্রকৃতপক্ষে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্ন্জাতিক পর্যটন ও সেবাখাত ধুঁকছে। বহু বিমান সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করেছে। কোনো কোনো বিমান সংস্থা বন্ধ হওয়ার মুখে। শুধু তাই নয়, বিমান চলাচল বন্ধ থাকার জন্য বহু দেশ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখিও হচ্ছে। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির বক্তব্য, ভ্রমণের ক্ষেত্রে দু’টি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়। কারণ, পৃথিবীর সর্বত্র সমানভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্যাকসিন ঠিক সময়ে পৌঁছায়নি। এই পরিস্থিতিতে সকলের কাছে দু’টি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট চাওয়া অন্যায়। বরং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর পরামর্শ, দু’টি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট না থাকলে সেই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে পাঠানো হোক। নেগেটিভ রিপোর্ট দেখতে চাওয়া হোক। ১৪ দিন আইসোলেশনের খরচ তার কাছ থেকে নেওয়া হোক। কিন্তু তাকে কোনো দেশে ঢুকতেই দেওয়া হবে না, এ নিয়ম ঠিক নয়।

সামগ্রিকভাবে সারা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ গত এক সপ্তাহে ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে বুধবার ডব্লিউএইচও জানিয়েছে। তবে মৃত্যুর হার একই আছে। সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যের, গত এক সপ্তাহে আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন