বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা
তারেক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
 ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর সালিশে মিমাংসা করায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কিশোরীর মামা বাদি হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই কিশোরী তার বাবা মা মারা যাওয়ার পর মামার বাড়িতে থেকে অত্র ইউনিয়নের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে আসছে। এরই মাঝে ফতেনগর গ্রামের মো. হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ উমর ফারুক (২২) এর সাথে পরিচয় হয়। কিন্তু উমর ফারুক বিবাহিত ও তার দুটি বাচ্চা রয়েছে। এই অবস্থায় উমর ফারুক তার বিয়ে ও বাচ্চা রয়েছে এ কথা গোপন রেখে ওই কিশোরীকে বিবাহ করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরই মাঝে শুক্রবার ভোরে উমর ফারুক ওই কিশোরীর সাথে দেখা করতে বাড়িতে গিয়ে ডেকে নিয়ে  একটি রুমে কথা বলতে থাকে। এসময় উমর ফারুক তাকে বিবাহ করবে বলে আশ্বাস দিয়ে ধর্ষনের প্রস্তাব দেয়। এতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে ওই রুমেই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় কিশোরীর ডাক চিৎকারে তার মামাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন এসে উমর ফারুককে আটক করে। এঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা কিশোরীকে উমর ফারুকের বিবাহ করতে হবে বলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মিমাংসা করে দেন। কিন্তু উমর ফারুকের আরেক স্ত্রী সন্তান রয়েছে এমন খবর শুনে বিয়েতে রাজি হয়নি কিশোরী। তাই ইজ্জতের চিন্তা করে শনিবার রাতে কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তার চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে পরিস্থিতি আরো অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরীর মামা বাদি হয়ে উমর ফারুককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত উমর ফারুককে আটক করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, এঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে আটক করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন