বিয়ে না করেই ৮ মাস সংসার, এবার বিয়ের দাবিতে অনশন কলেজছাত্রীর

বিয়ে না করেই ৮ মাস সংসার, এবার বিয়ের দাবিতে অনশন কলেজছাত্রীর

বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাভাড়া নিয়ে ৮ মাস ঘর-সংসার করার অভিযোগ ওঠেছে রাব্বি নামের এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। এখন লোকসমাজে জানাজানির পর বিয়ের দাবিতে গত দু’দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন কলেজ ছাত্রী (১৯)। ঘটনাটি টাঙ্গািইলের সখীপুরের।

সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাহার্তা রামখা পাড়া কটাবাড়িতে অনশন করছেন ওই ছাত্রী। ঘটনা জানাজানির পর থেকে প্রেমিক জাকারিয়া ইসলাম রাব্বী লাপাত্তা। রাব্বি ওই গ্রামের প্রবাসী লুৎফর রহমানের ছেলে ও সরকারি মুজিব কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

সরেজমিন দেখা যায়, রাব্বিদের বাড়ির প্রতিটি ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। আর বাইরে এক কাপড়ে বসে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। স্থানীয়রা তাকে দেখতে ভির করছেন।

খাবার দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন রাব্বির পরিবারের লোকজন। রাব্বির সাথে বিয়ে না হলে তিনি এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।

জানা গেছে, দেড় বছর আগে রাব্বির এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে প্রথম পরিচয় হয় আবাসিক মহিলা অনার্স কলেজ পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে। এক পর্যায়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌরসভার উত্তরা মোড় ‍ও ক্যাপ্টেন মোড় এলাকায় পৃথক দুটি বাসা ভাড়া নিয়ে ৮ মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর-সংসার করেন তারা। বার বার বিয়ের চাপ দিলেও নানা তালবাহান করে সময় ক্ষেপণ করেন রাবিব। নিরুপায় হয়ে রোববার থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী।

এ ব্যাপারে রাব্বির দাদা আবদুর রহমান বলেন, নাতি অন্যায় করেছে মাতাব্বররা যে ব্যবস্থা নেবেন আমরা তা মেনে নেব। ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, গত রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। পরে ছেলে পক্ষের অনীহার কারণে নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় কাউন্সিলর ফজলুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ওই কলেজছাত্রীর বাবা লেবু মিয়া।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন