বীর প্রতীক রহমতউল্লাহ দাদু আর নেই

বীর প্রতীক রহমতউল্লাহ দাদু আর নেই

বীর প্রতীক লেফটেন্যান্ট (অব.) গাজী মো. রহমতউল্লাহ দাদু (৮১) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনার শেখপাড়ায় মৃত্যু হয় রহমতউল্লাহ দাদুর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।

রহমতউল্লাহ দাদু সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সহসভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অন্যতম সংগঠকও ছিলেন। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বীর প্রতীক রহমতউল্লাহ দাদু আর নেই

মরহুমের ভাই ঈসা গাজী জানান, আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে রহমতউল্লাহ দাদুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ফ্রান্সের তুলঁ পোতাশ্রয়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবমেরিন ম্যানগ্রোতে কর্মরত ছিলেন মো. রহমতউল্লাহ। ওই পাক সাবমেরিনটিতে ১৩ জন বাঙালি নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে নয়জন বিদ্রোহ করে পক্ষ ত্যাগ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। গাজী রহমতউল্লাহ দাদু সে সময় সাবমেরিনের চিফ রেডিও আর্টিফিসার সিআর-এ ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং প্রথম স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গাজী রহমতউল্লাহ দাদু ২০০৭ সালে এই প্রতিনিধির কাছে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের দপ্তরে কাজ করেছেন। তিনি খুলনার রূপসার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ও শনাক্ত করে রূপসা নদীর তীরে সমাহিত করার ব্যবস্থা করেন। তিনি সরাসরি খুলনা মুক্ত অভিযানে অংশ নেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment