ব্যস্ত শহর

ব্যস্ত শহর

আমি থাকতে আসিনি
এই ব্যস্ত শহরে !
ব্যস্ততা’র পদচারণায়, পূর্ব দিকে সূর্য উঠে,
ঝিম ধরা ফেরারি বিকেলে’র গর্ভপাতে, পশ্চিমে যায় অস্ত ।
দিনের আলো নিভে, ধূঁধূঁ আধারের প্রতারণা’য়,
আবার রাতের বুকে পদাঘাত করে –
নব আলোয় শুরু হয় দিন ।

প্রতিটা মুহূর্তে এই শহরে –
ছোঁয়া লেগে থাকে ব্যস্ততার হাতছানি,
ব্যস্ত শহরে বুকে লেপ্টে থাকা, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ।

এই ব্যস্ত শহরের ইট-পাথরের দেয়ালে ঘেরা বন্দী জীবন
ব্যস্ততা’র কড়াল গ্রাসে, শহর আজ পরিত্যক্ত হয়ে গেছে,
লক্ষ মানুষের পদচারণায় পদচ্যুত হয়ে ।
পচন ধরেছে আজ, শহরের সারা শরীর জুড়ে
ব্যস্ততার ভয়াল থাবায় আজ,
স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে গিয়েছে শহরের বুক থেকে ।

হে শহর !
অনেক কিছু এড়িয়ে গেছি তোমাকে –
নিজের ভিতরে জমে থাকা, দুঃখ-বেদনা’র কতশত স্মৃতি
শহর তুমি হাসতে পারো ! কাঁদতে পারো !
যখন যা খুশি তাই কর ।
সমস্ত অনুভবের বহিঃ প্রকাশে, তুমি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ।

শহর একদিন, তোমার বুকে এসেছিলাম বসবাসের জন্য
তুমি পারলে না আমাকে, নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে,
হাজারো সুখের ভিড়ে কেন জানি –
এক বুক দুঃখ নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি তোমার বুকে ।

শহর ! তোমার বুকে কত আশা –
নিরাশা হয়ে গুমরে মরে,
তোমার ইট, পাথরে সাজানো চৌকাঠে,
কত স্বপ্ন ঝুলে থাকে, তোমার পথের ল্যাম্পপোস্টে ।
জীবনের পথে হেঁটে চলে জীবন,
আঁধারের পাশ কেটে রাত্রির গহীনে ।

শহর ! ফিরতে চাইনা আর তোমার ঘরে
নীরব কান্নায় যেখানে অশ্রু ঝরে,
উঁচু উঁচু অট্টালিকার দেয়ালের ওপারে ৷

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন