ভারতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সুখবর

ভারতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সুখবর

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী যেসব সেক্টর সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছিল তার মধ্যে অন্যতম আকাশপথে চলাচল। মহামারির এই নেতিবাচক প্রভাবের বাইরে ছিল না ভারতও। তবে ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আর তাই এবার আকাশপথে চলাচলের নিয়মে বড় ছাড় দিলো দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতে অভ্যন্তরীণ বিমান সেবায় ইতোপূর্বে ধারণক্ষমতার ৮৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার ঘোষণা করা নতুন নির্দেশনায় করোনা মহামারির আগের সময়ের মতো করে শতভাগ যাত্রী নিয়ে বিমান চলাচলে ছাড় দিয়েছে দেশটি। ফলে করোনাকে পাশ কাটিয়ে ভারতে বিমান পরিষেবা এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার পথে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলে মঙ্গলবার অনুমতি দেওয়া হলেও আগামী সোমবার (১৮ অক্টোবর) থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। ওই দিন থেকে ফ্লাইটের ধারণক্ষমতার শতভাগ যাত্রীই নেওয়া যাবে। তবে মানতে হবে কোভিড প্রোটোকল।

উৎসবের মৌসুমে ভারতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ইকরার তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। আগস্ট মাসে যেখানে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো ৬৫ লাখ যাত্রী পরিবহণ করেছে, সেখানে সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭ লাখ।

মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।’

করোনা মহামারির ভয়াবহতার কারণে ২০২০ সালের মার্চে ভারতে লকডাউন জারি করা হয়। লকডাউনের কারণে সেসময় দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন স্তব্ধ হয়ে যায়, তেমনই বিমান ও রেলওয়ের মতো যানও চলাচল স্থগিত হয়ে যায়।

পরবর্তীকালে বিমান সেবা চালু হলেও সেসময় কেবল অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জায়গা থেকে সর্বশেষ এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে বড় বিষয়।

করোনার প্রকোপ কমায় গত জুলাই থেকে ধাপে ধাপে যাত্রী সংখ্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দিলো নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার।

আপনি আরও পড়তে পারেন