ভুট্টার চারায় সবুজ তিস্তার চরাঞ্চল

ভুট্টার চারায় সবুজ তিস্তার চরাঞ্চল
মোঃসিরাজুল ইসলাম,নীলফামারী প্রতিনিধি :
তিস্তা নদীর চরজুড়ে যে দিকে চোখ যাবে সে দিকে শুধু সবুজের সমারোহ। এ সবুজ ভুট্টাখেতের। তিস্তার বালুচরে ভুট্টা চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন চাষিরা। মাইলের পর মাইল জুড়ে পলি মিশ্রিত বালু মাটিতে সব ধরনের ফসল ফলানো যায়। অন্য ফসলের আশানুরূপ ফলন না পেলেও ভুট্টার ফলন হচ্ছে বাম্পার। তাই চরের চাষিরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন অনেক আগে থেকেই। ভুট্টার আশানুরূপ ফলন আর দামে লাভবান চরাঞ্চলের চাষিরা। ফিড কোম্পানিগুলো সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ভুট্টা কিনে নেওয়ায় তাদের তেমন সমস্যায় পড়তে হয় না। পূর্ব খড়িবাড়ী মো: হুকুম আলী বীজ, সার ও শ্রমিকের খরচ হবে ৬০-৬৫ হাজার টাকা। প্রতি শতক জমি থেকে ৫০-৫৫ কেজি ভুট্টা পাওয়া যাবে।’ প্রতি মণ ভুট্টা ৭২০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে তিস্তার চরে ভুট্টা চাষ করছি। প্রথমে তেমন ফলন না পেলেও বিগত ২/৩ বছর যাবত ভালো ফলন পাচ্ছি। উপজেলার চর খড়িবাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীন  বলেন, ‘চরাঞ্চলে ভুট্টার আবাদ আসার আগে চরের জমি পতিত ছিল। অন্য ফসলের আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় এসব জমিতে ফসল ফলানো হয়নি। এখন ভুট্টা চাষে তারা মনোযোগী হচ্ছেন।’ ‘আমরা ভুট্টা চাষে আশানুরূপ ফলন ও দাম পাচ্ছি। শুধু ভুট্টা চাষ করেই চরের কৃষকরা টিকে আছেন। গত বছর ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। এ বছর চাষ করেছি ১০ বিঘা। আশা করছি, ভালো ফলন ও দাম পাবো।’ তিনি জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ভুট্টার চাষ শুরু হয় আর ফসল ঘরে তোলা হয় এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে। ‘ভুট্টা চাষে তেমন খরচ নেই কিন্তু রয়েছে আশানুরূপ লাভ।
 উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন এ বছর ১৩ হাজার ৪শত ৫৮ হেক্টর ভুট্টা চাষ হয়েছে। যাহা গত বছরের তুলনায় বেশি আমরা কৃষি অফিস থেকে চাষিদের ভুট্টা চাষে পরামর্শ ও পরিচর্যার দিকনির্দেশনা দিচ্ছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন