ভৈরবে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

ভৈরবে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ  

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উক্ত ইউনিয়নের কিছু জমির মালিক কিন্তু অকৃষক অতিরিক্ত অর্থের লোভে  পুকুর করার নাম করে কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ৪ ফুট গভীর করে মাটি বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী ইটের ভাটা গুলোতে। কৃষি সূত্রে জানা যায়, এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হবে। এমনকি পাশের জমি গুলোও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনায় থেকে যায়।
সরেজমিনে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চক বাজারের কৃষি মাঠে গেলে দেখা যায় যে, খননযন্ত্র দিয়ে ৪ থেকে ১০ ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে। খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) চালক সীমান্ত জানান এগুলো পার্শ্ববর্তী কামাল মিয়ার  ‘ কেএমএল ব্রিকস’ এর ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। “কেএমএল ব্রিকস” ও “শাপলা ব্রিকস ” এই দুই  ইটেরভাটায় ২ জন এক্সকাভেটর মালিক বিপুল পরিমানে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে বলে জানায় এলাকাবাসী।
 ইটভাটাটির মালিকের নাম কামাল মিয়া।  তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব থানার নারায়নপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিম পুর গ্রামে।স্থানীয়রা জানান, জমির মালিকেরা মাটি বিক্রি করেন। এক বিঘা জমির মাটি বিক্রি করতে পারে প্রায় ৫/৭ লক্ষ টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মাটি বিক্রেতা জানান, ধান চাষ করে লাভ হয় না। তাই তাঁরা মাটি বিক্রি করছেন। ফসলী জমি গুলো থেকে মাটি বিক্রি করার একটি সিন্ডিকেট চক্র রয়েছে বলেও একাধিক সূত্রে জানা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ‘ফসলি জমির উপরিস্তরের ছয় ইঞ্চি গভীরতায় মাটি কেটে নিলে উর্বরতা নষ্ট হয়ে। এর পর যে মাটি থাকে, তাতে ফলন ভালো হয় না। ইটভাটায় মাটি বিক্রির বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। কিন্তু জমির মালিকরা স্বইচ্ছায় বিক্রি করে বিধায় আমাদের কিছু করার থাকে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন