ভয়ংকর ‘টাপেন্টাডলে’ মাতাল তরুণ সমাজ!

বাংলাদেশের নতুন ছড়িয়ে পড়া নেশাদ্রব্য টাপেন্টাডল ট্যাবলেট। সম্প্রতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ট্যাবলেটটি। হেরোইন এবং ইয়াবার মত মাদকের বিকল্প হিসেবে সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ওষুধ। 

দেশের কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি  ভিন্ন ভিন্ন নামে এই ট্যাবলেট উৎপাদন করে। একেকটি ট্যাবলেটের দাম ১২ থেকে ১৭ টাকা। দাম কম ও সহজে পাওয়া যায় বলে এই ব্যথানাশক ট্যাবলেট নেশার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের খবর কয়েক বছর ধরেই গণমাধ্যমে আসছিল।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, নিষিদ্ধ হলেও এটা বিক্রি হচ্ছে কি না তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এত দিন এটা ওষুধ হিসেবে ছিল। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এটা এখন মাদক। তাই যারা এখনো এই ট্যাবলেট মুজদ রেখেছে, বিক্রি করছে বা বিক্রি করার চেষ্টা করছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, অভিজাত এলাকায় এই টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ইয়াবা-হেরোইনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে ধনীর দুলালরা। এমন তথ্য পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা যেন কেউ গোপনে বা প্রকাশ্যে বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে আলাদা দল কাজ করছে।

তিনি বলেন, এখন এটা মাদকের তালিকাভুক্ত। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে তাদের তালিকাভুক্ত করে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হবে।

অনেক আগে থেকেই এই ট্যাবলেট মাদক হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে জানতে পেরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়।

৮ জুলাই ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত টাপেন্টাডল ওষুধকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এই ওষুধকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন মাদকসেবীরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন