মধ্যরাতে প্রেমিকের ডাকে সাড়া, এরপর যা হলো নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর

মধ্যরাতে প্রেমিকের ডাকে সাড়া, এরপর যা হলো নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর

ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্য রাতে প্রেমিকের ফোন পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী।

সোমবার (৩১ শে জানুয়ারি) মধ্য রাতে সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের হারাগাছ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেয়েটিকে পুলিশ হাসপাতালে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

 

জানা গেছে, সোমবার রাত ১২ টার দিকে পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান বাবা। ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচড়ের চিহ্ন। পরে রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করেন। পরদিন সকালে স্থানীয় মেম্বারকে সাথে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সারাদিন তাদেরকে থানায় বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়ীতে ভুক্তভোগি মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়, ঘটনার দিন রাতে প্রেমিক ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সুজনের ফোন পেয়ে সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে তাকে মোটরসাইকেল যোগে একটি মুরগীর খামারের ভিতর নিয়ে যায় সুজন। সেখানে সুজন, আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনরকমে সে বাড়িতে পৌঁছায়। এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রী তার এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই ছাত্রীর দুলাভাই মো. সোহেল রানা।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, লিখিত অভিযোগ পাইনি। মেয়েটির বর্ণনামতে ঘটনাস্থল শনাক্ত করা হয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া মেয়েটিকে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন