মশার পেট কেটে মিলল জীবাণু, যেভাবে আবিষ্কার হলো ম্যালেরিয়া

মশার পেট কেটে মিলল জীবাণু, যেভাবে আবিষ্কার হলো ম্যালেরিয়া

অ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমেই ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়। সর্বপ্রথম এ রোগের জীবাণু আবিষ্কার করেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস। তাও আবার একটা মশার পেট কেটে। ১৮৯৭ সালের ২০ আগস্ট মশার পাকস্থলীতে তিনি আবিষ্কার করেছিলেন ম্যালেরিয়ার জীবাণু। তাই এ দিনটি বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

১৮৯৭ সালের ১৮ জুন বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস তৎকালীন ভারতের মাদ্রাজের সেকান্দ্রাবাদে ১৯তম মাদ্রাজ ইনফ্যানট্রিতে তার নির্দিষ্ট পদে যোগদান করেন। এখানে কাজ করতে করতেই  যদিও এই আবিষ্কার করার জন্য তার কাছে বড় সাহায্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী স্যার প্যাট্রিক ম্যানসন। উনি রোনাল্ড রসকে ম্যালেরিয়ার জীবাণুগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে সে যাই হোক, এ কাজে বিজ্ঞানী রোনাল্ড রসের এই আবিষ্কারের অবদান আলাদা করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এই আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

কে এই রোনাল্ড রস? কী সম্পর্ক তার ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে? রোনাল্ড রসের জন্ম তৎকালীন ভারতের আলমোড়া অঞ্চলে। তিনি বিজ্ঞানী হিসাবে পরিচিতি পেলেও তার মনেপ্রাণে ইচ্ছে ছিল যে তিনি একজন লেখক হবেন। ইংল্যান্ডে চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশুনা শেষ করে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। ১৮৮১ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিসে সার্জন হিসেবে যোগ দেন। সেই শুরু। এরপর ধীরে ধীরে তার কর্মজীবন যত এগিয়েছে ততই তিনি এগিয়েছেন তার যুগান্তকারী আবিষ্কারের দিকে।

তার লেখা ‘মেময়ার’ অনুসারে, ১২৫ বছর আগে ২০ আগস্ট সেকান্দ্রাবাদে মশার পেট কেটে তার পাকস্থলীর মধ্যে তিনি খুঁজে পান পরজীবী জীবাণু প্লাসমোডিয়ামকে। তিনি এই জীবাণুর সমগ্র জীবনচক্রও আবিষ্কার করেন। তবে ‘দি লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ এই দিনটাকে বিশ্ব মশা দিবস হিসাবে পালন করতে শুরু করে ১৯৩০ থেকে।

বিজ্ঞানী রোনাল্ড রসের এ আবিষ্কার শত বছর আগে ম্যালেরিয়া চিকিৎসার দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন। মানুষকে মশাবাহিত এই রোগ থেকে সাবধান করেছিলেন। এখনো এই দিনটা পালিত হয় এই উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন