মালয়েশিয়ায় লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানি

মালয়েশিয়ায় লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানি

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পারছে না মালয়েশিয়া। দেশটিতে বেড়েই চলেছে প্রাণহানি ও আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানি হয়েছে ১১৮ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট প্রাণহানি হয়েছে ৬ হাজার ৫০৩ জনের। একদিনে  শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬১৮ জন। মোট আক্রান্ত আট লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৭ জন।

নতুন শনাক্তের অর্ধেকই দেশটির ক্ল্যাং উপত্যকার। সেলানগরে পাঁচ হাজার ৫১ জন এবং রাজধানী কুয়ালালামপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৪৯ জন এবং প্রতিবেশী প্রদেশ নেগেরি সেমবিলানে এক হাজার ৫৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। উপকূলীয় প্রদেশ মেলাকায় ৫১৬ জন, জোহর প্রদেশে ৩৯৬ জন এবং সাবা ২৮৬ ও সারওয়াক ২৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মালয়েশিয়ায় সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৭৯ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। পরদিন বুধবারই আগের রেকর্ড ভাঙে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ গোটা ক্ল্যাং উপত্যকায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

dhakapost

গত ২৯ মে প্রথমবার মালয়েশিয়ায় একদিনে নয় হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হন। এর দুদিন পর গত ১ জুন থেকে দেশজুড়ে লকডাউন দেওয়া হয়। এ লকডাউন এখনও জারি রয়েছে।

এ দিকে দুই শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর মালয়েশিয়ায় একটি টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রকোপ ঠেকাতে গণ টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু টিকা দিতে গিয়েও অনেক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশটির প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। এক ডোজ নিয়েছেন প্রায় ২৫ শতাংশ।

করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত প্রদেশ সেলানগরের একটি টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় টিকাদান কেন্দ্রটির ২০৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ৪৫৩ জন কোভিড পজিটিভ হন। এরপরই সরকার সেটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

টিকা কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী খায়েরি জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, আক্রান্তদের কারো গুরুতর কোনো উপসর্গ নেই। মালয়েশিয়াতে ফাইজার, সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অনুমোদন রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন