মাশরাফিকে হারিয়ে পঞ্চম বারের মতো ফাইনালে ঢাকা

বিপিএলের চলতি আসরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস মুখোমুখি হয়। জয়ের জন্য ১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় সাকিব আল হাসানের ঢাকা। এই নিয়ে পঞ্চম বারের মতো ঢাকা ফাইনালের টিকিট পেলো। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করে গাজি টিভি ও মাছরাঙ্গা টিভি চ্যানেল।

রান তাড়া করতে নেমে ঢাকার শুরুটা ভালো হয়নি। দলিয় চার রানের মাথায় ওপেনার উপুল থারাঙ্গার উইকেট হারায় ঢাকা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রনি তালুকদার ও নারিন দলকে বিপদ থেকে টেনে তুলেন। এই জুটি থেকে আসে ৪১ রান।

গত আসরের ফাইনালে রংপুরের কাছে হেরেই রানার্সআপ হয় ঢাকা। এবার সেই রংপুরকে হারিয়েই ফাইনালে উঠে গেল সাকিবের দল।দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৪২ রানে অলআউট হয় মাশরাফির রংপুর।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে শুনে আগাতে থাকে রংপুর। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৬ রান সংগ্রহ করেন দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও নাদিফ চোধুরী। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আন্দ্রে রাসেলকে দুই ছয় এবং একটি চার হাঁকিয়ে ১৮ রান আদায় করে নেন গেইল-নাদিফ। প্রথম খেলতে নেমেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন নাদিফ চোধুরী। নিজের খেলা প্রথম ৫ বলে করেন ৫ রান।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শুভাগত হোমকে হ্যাটট্রিক ছক্কা মারেন জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬-২০০৭ মৌসুমে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা নাদিফ। ওভারের পঞ্চম বল ডট খেলে পরের বলেই বাউন্ডারির জন্য বল তুলে মারেন নাদিফ। উপরে ওঠা বলটি মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার কায়রন পোলার্ডের হাতে ধরে পড়ে। চলতি বিপিএলে ১২ ম্যাচ অপেক্ষার পর দলের গুরুত্বপূর্ণ দিনে খেলতে নেমে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে ১২ বলে তিন ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে ২৭ রান করে ফেরেন নাদিফ চোধুরী।

রুবেল হোসেনের করা প্রথম বলটি অফসাইড দিয়েই বের হয়ে যাচ্ছিল। খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন ক্রিস গেইল। ঠিক পরের বলে রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হন রাইলি রুশো। চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত খেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করা রুশো ফেরেন শূন্য রানে।

দলীয় ৪২ রানে পরপর তিন বলে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে রংপুর। হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রবি বোপারা। এই পার্টনারশিপে তারা ৬৪ রানের জুটি গড়ে। দলকে খেলায় ফেরান। ২৭ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ৩৮ রান করা মিঠুন কাজী অনিকের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

তিন উইকেটে ১০৬ রান সংগ্রহের পর আবার বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। এরপর চার রানের ব্যবধানে হারায় তিন উইকেট। মিঠুন ৩৮ রান করলেও বেনি হাওয়েল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩, ০ রানের বেশি করতে পারেননি।ইনিংসের শেষ দিকে রবি বোপারা উইকেটের এক পাশ আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। তার ৪৩ বলের ৪৯ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৪২ রান তুলতে সক্ষম হয় রংপুর।

১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় ঢাকা। আগের দুই ম্যাচে ৪২ ও ৫১ রান করা ডায়নামাইটসের লংঙ্কান ওপেনার উপল থারাঙ্গাকে মাত্র ৪ রানে ফেরান মাশরাফি। দলীয় ৪১ রানে ফেরেন সুনীল নারিন। ২০ বলে ২৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক সাকিব। ৩ উইকেটে ৯১ রান সংগ্রহ করা ঢাকার এরপর ৬ রানে ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে। তবে আন্দ্রে রাসেলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। ১৯ বলে ৫টি ছক্কায় ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment