মিরপুর-উত্তরা রুটে চলছে কিছু বাস

মিরপুর-উত্তরা রুটে চলছে কিছু বাস

ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চালানো বন্ধ করে দেন চালকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। আজ সকালেও মিরপুরে বাস সংকট দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়লে মিরপুর-উত্তরা রুটে কিছু বাস চলতে দেখা গেছে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মিরপুর-১, ২, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাসসহ ডিজেলচালিত সব যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। যদিও ভাড়া বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ ছিল। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকেই সিএনজিচালিত সব যানবাহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছিল। এ নিয়ে প্রত্যেকদিন চালকদের সাথে যাত্রীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

বুধবার মিরপুর-১০ নম্বরে প্রজাপতি পরিবহনের হেলপার রফিক দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন, সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে। এখানে তো আমাদের হাত নেই। তারপরও যাত্রীরা ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করেন। তেলের দাম বাড়ার কারণে এতো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ভাড়া বাড়ায় আর যাত্রীদের সাথে আমাদের মারামারি করতে হয়। গতকালের ঘটনার পর মালিক পক্ষের নির্দেশে বাস বন্ধ রেখেছিলাম। তবে রাতেই মালিকপক্ষ সকাল থেকে বাস বের করতে বলে। সেজন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।

তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার ঘোষণার পর থেকেই যাত্রীদের সাথে সমস্যাগুলো হচ্ছে। যাত্রীরা আগের ভাড়ার বেশি দিতে চায় না। তাই প্রতিনিয়ত তাদের সাথে ঝগড়া ও বাগবিতণ্ডা হচ্ছে।

পরিস্থান পরিবহনের কাশেম নামের এক যাত্রী দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদে পড়েছিলাম। উত্তরার নিজ অফিস থেকে মনে মিরপুর আসতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। বাস না পেয়ে সিএনজিতে ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে মিরপুর এসেছিলাম। সরকার ও বাস মালিকদের কাছে সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি অবস্থায় আছে। তবে আজ বাস চলায় ভোগান্তি হবে না।

তিনি বলেন, সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাসের সুপারভাইজাররা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। সব সিটের পাশাপাশি যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে নিচ্ছে। যাত্রীদের কাছ থেকে সিটিং ভাড়া নিয়ে লোকাল সার্ভিসের সেবা দিচ্ছে পরিবহনগুলো।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকালের সমস্যা সমাধান হয়েছে। পরিবহনই চলছে। তবে কিছু কিছু পরিবহন এখন বন্ধ রাখা হয়েছে শুনেছি।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর (রোববার) খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছিলেন, রাজধানীতে কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেটলক সার্ভিস বাস থাকবে না। এরপর কয়েকদিন পার হলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। আর সিটিং সার্ভিসের নামে পকেট কাটা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ চলমান।

এ অবস্থায় বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও চালকরা। এরই জেরে ওইদিন দুপুর ২টার পর থেকে মিরপুর এলাকায় সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন