মুক্ত সম্রাট কোথায়? কেমন আছেন? কি করছেন?

মুক্ত সম্রাট কোথায়? কেমন আছেন? কি করছেন?

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এর পর গত ১১ মে জামিন পেলেও ১৩ দিন পরই আবার আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হয় তাকে। এই ১৩ দিন তিনি ছিলেন হাসপাতালে। কার্যত গ্রেপ্তারের পর থেকে মুক্ত বাতাসে বিচরণ ছিল না ঢাকার দাপুটে এ নেতার। মুক্তি বলতে গতকাল রাতেই হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় সোমবার জামিন পাওয়ার পর রাতে কারামুক্ত হন তিনি। ওইদিন সন্ধ্যায় তার জামিননামা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে কারা কর্তৃপক্ষ সেটি যাচাই-বাছাই শেষে রাতে তাকে মুক্ত করে দেন। এর আগ পর্যন্ত সম্রাট কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।

 

মুক্ত হওয়ার পর এখন কোথায় আছেন সম্রাট, কী করছেন- এসব জানতে কৌতূহল রয়েছে সকলেরই।

কারামুক্ত সম্রাট এখনো বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন। তাকে একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় করছেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরা। কারণ, মুক্ত হওয়ার আগে থেকেই শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে বিএসএমএমইউ-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সম্রাট এখনো আমাদের হাসপাতালেই আছেন। তিনি এখন কারামুক্ত। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন কি না সেটা একান্তই তার বিষয়। যেসব চিকিৎসক তাকে দেখেন, তারা দুয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর তিনি অন্যত্র চিকিৎসা নিতে চাইলে যেতে পারবেন।’

সূত্র বলছে, চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত বিএসএমএমইউ হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাকে। কারামুক্ত হওয়ার পর হাসপাতালের বিছানায় বসে একাধিক গণমাধ্যমকে সম্রাট বলেন, ‘আমার উন্নত চিকিৎসার দরকার। আমার শরীর সুস্থ করতে হলে যে মানের চিকিৎসা প্রয়োজন, তা বাংলাদেশে নেই। এর জন্য দেশের বাইরে যেতে হতে পারে।’

সূত্র জানায়, নানা ধরনের রোগে ভুগছেন সম্রাট। ১৯৯৮ সালে তার শরীরে একটি পেশমেকার লাগানো হয়। সেটার মেয়াদ ছিল ১৫ বছর। ২০১৩ সালে ওই পেশমেকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এছাড়াও কিডনি, হার্ট, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের অসুখ নিয়ে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন তিনি।

সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর প্রায় আড়াই বছর পর গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় এবং ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পান সম্রাট। ওই সময় দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পেলও কয়েকদিন পরই তা বাতিল হয়ে যায়।

এর পর গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অসুস্থ বিবেচনায় তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন। আদালত দুই শর্তে তাকে জামিন দেন। শর্ত অনুযায়ী সম্রাটকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন