মেহেরপুরের গাংনীতে পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবার পাট চাষে লাভের মুখ দেখছে চাষীরা

মেহেরপুরের গাংনীতে পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবার পাট চাষে লাভের মুখ দেখছে চাষীরা

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীতে এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।এবার পাট চাষে লাভের মুখ দেখছে চাষীরা। তাই পাট চাষীদের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই যেসব জমিতে রোপা ধানের চাষ করা হবে সেই জমি থেকে আগেই পাট কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমান পাটের বাজার মোটামুটি ভাল। সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৩৮০০  টাকা পর্যন্ত নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর। গত বছরের শেষের দিকে পাটের বাজার মূল্য বেশী হওয়ায় পাট চাষীরা ধড়ি মেরে পাট চাষে ঝুকে পড়ে। ফলে উপজেলার প্রায় সব মাঠেই পাট চাষ করা হয়েছে।এবারে  পাট গবেষণা কেন্দ্র থেকে অধিক ফলনের জন্য পরিক্ষীত ০৯৮ ও ০৯৭ জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। পাটের আঁশের মান ভাল হওয়ায় পাট চাষীরা ভারতের নানা জাতের পাট বীজ সংগ্রহ না করে বাংলাদেশের উদ্ভাবিত পাট বীজ বপন করেছে। তবে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই জাতের পাটের গুণগত আঁশ পেতে বিছুটা দেরীতে পাট কাঁটতে হয়।

উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের পাট চাষী নাসিরউদ্দীন জানান, পাট চাষ লাভজনক ভেবে এবছর পাট চাষে চাষীরা বেশী আগ্রহ দেখিয়েছে।মাঠে শুধু পাট আর পাট ,চারিদিকে শোভা পাচ্ছে।

চাষিরা  জানান, বিদ্যুৎ, ডিজেল ও সারের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় অনেক কৃষকই বোরো ধান চাষ না করে তুলনামূলক সাশ্রয়ী পাট চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। বিগত বছরে পাটের বাজার খারাপ থাকলেও এবছর শুরুতেই পাটের বাজার দর সন্তোষজনক । এসব কৃষক জানান, চাষে সর্বসাকুল্যে খরচ কম হলেও পাট কাটা, আঁশ পচানো (জাগ দেয়া)এবং রোদে শুকানো পর্যন্ত অনেক খরচ এবং পরিশ্রম। তা ছাড়া এখানে কাজ করা একজন দিনমজুরকে  ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা করে মজুরি দিতে হয়। এত খরচের পর এই বাজারমূল্য আরও বাড়ানোর জন্য আহবান জানান তাঁরা।

এবাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবউদ্দীন আহম্দে জানান, এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।তবে পাটের  বর্ধন বা উচ্চতা আশানুরুপ হয়নি। কারন হিসাবে জানা গেছে, পাট চাষের শুরুতে প্রাকৃতিক বৃষ্টির অভাব ছিল। অনেকেই জমিতে সেচ দিয়ে পাট চাষ করেন। প্রথম দিকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা কিছুটা বেশী থাকায় পাটের বর্ধন ভাল হয়নি। তবে কোন কোন মাঠে পাটের উচ্চতা খুব ভালো হয়েছে। এবার পাটের বাজার মূল্য অনেক ভালো।গত বঝর পাট চাষ হয়েছিল ৯ হাজার হেক্টর জমিতে।  পাশাপাশি ধানের বাজার মূল্যও ভাল । সেকারনে অনেক চাষী পাট পরিপক্ক না হতেই কেটে জাগ দিচ্ছে। আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকতার্রা সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন এবং পাট জাগে পরামর্শ দিচ্ছেন। উদ্দেশ্য ঐ জমিতে আগাম ধান চাষ করবে। আমরা সব সময়ই আধুনিক প্রযুক্তিতে আবাদ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছি। কৃষকরাও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার  করে লাভবান হচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন