যাত্রীর চাপ, শিমুলিয়া থেকে ফিরে যাচ্ছে খালি ফেরি

যাত্রীর চাপ, শিমুলিয়া থেকে ফিরে যাচ্ছে খালি ফেরি

যাত্রীর চাপ, শিমুলিয়া থেকে ফিরে যাচ্ছে খালি ফেরি

ঈদের পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী চাপ কমেনি। এখনো যাত্রী পারাপারে হিমশিম খেতে দেখা যায় ফেরি কর্তৃপক্ষকে। এমনকি মাঝে মধ্যে এমন চাপ পড়ে ফেরি থেকে যাত্রী নামাতে ও উঠতে বেশ বেগ পেতে হয় যাত্রীদের। গত দুদিন ধরেই বাংলাবাজার ঘাটে প্রাইভেট পরিবহনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে।

বাংলাবাজার ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে গতকালের চেয়ে আজকে চাপ অনেকটাই কম। যাত্রী চাপ সামাল দিতে খালি ফেরি আনা হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট থেকে। যাত্রী চাপ বেশি থাকায় শিমুলিয়া থেকে আজো খালি ফেরি আনা হচ্ছে। যাত্রী চাপের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাবাজার ঘাটে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপও বেড়েছে। তবে যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে দুই চাক্কার মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার ইজিবাইক থ্রি হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে প্রচণ্ড গরমে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

বাংলাবাজার ঘাটে ফেরিতে নির্ধারিত ২৫ টাকাই আদায় করা হচ্ছে। ফেরিতে গাদাগাদি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নজরদারি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে শিমুলিয়া থেকেও এখনো অনেক যাত্রী দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও এদিন খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। যাত্রীরা সেখান থেকে ভ্যান, ইজিবাইকে চড়ে ঘাটে আসেন। বাসসহ সকল যানবাহনে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয় বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করেন। এ রুটে যাত্রী চাপ কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে ১৬টি ফেরির স্থলে এখন ১৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে।

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী আফসানা জানান, লকডাউনের নামে একদিকে সরকার মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। শুধুই কী, লঞ্চ আর বাসের বেলাই লকডাউন? ফেরি তো ঠিকই চলছে। বরং এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

শরিয়তপুর থেকে আসা যাত্রী শিমুল জানান, আঞ্চলিক সড়ক বা মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো চলাচল করতে দেখা যায় না। সড়কে কোনো পরিবহন নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলতে হচ্ছে। বেশি ভাড়ার বোঝা তো আছেই। তারপর আবার জীবনের ঝুঁকিই বেশি।

শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন জানান, বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। যাত্রীরা কোনো বাধা নিষেধ মানতে চায় না। যে যার মতো আগে যাওয়ার জন্য লাফালাফি করে ফেরিতে উঠছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন